ধামরাই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সচিব আফছার উদ্দিন জিন্নাহ।

ধামরাই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সচিব আফছার উদ্দিন জিন্নাহ।

আওয়ামীলীগের সভাপতি, সরকারের মানণীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আসন্ন স্হানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজের সৎ সজ্জন জনগনের নিকট গ্রহণযোগ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দল ও নীতির প্রশ্নে আপোষহীন ত্যাগী ও পরিক্ষিত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে মনোনয়ন দেওয়া হবে।সে আলোকে ঢাকার ধামরাই পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বিএসটিআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ধামরাই পৌরসভার বাগনগর নিবাসী
বিষিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আফছার উদ্দিন জিন্নাহ।

পৌরবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় ও গনসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া, মহল্লায় বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার লোকের সাথে মতবিনিময় ও গনসংযোগ কালে তিনি বলেন- বিগত পৌরসভা নির্বাচন গুলোতো প্রার্থীতা ঘোষণা ও ব্যাপক প্রচার চালিয়েও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে গেছেন, কাজ করেছেন।

তিনি বলেন আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারী আমি ১৯৬৭ সালে ধামরাই থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১৯৬৯ সালে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরবর্তীতে বৃহত্তর ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। ১৯৬৮ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি।
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি,এস-সি(অনার্স), ১৯৭২ সালে ডিএইসএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাশ করি। ১৯৭৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশ করি।বিগত বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের আমলে আমার চাকুরির মেয়াদ থাকা সত্বেও আমাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আশা করেন দলীয় সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা মানণীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাঁকে মূল্যায়ন করবেন।

তিনি নৌকা প্রতীকের মাঝি হিসেবে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস ও ঐতিহ্যয়ের সমন্বয়ে আধুনিক নগর হিসেবে ধামরাই পৌরসভা গড়ে তুলবেন।

তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগের সরকার দেশব্যাপী ধারাবাহিক ভাবে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ সাধিত হয়েছে বর্তমানেও ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অনুরুপ সমগ্র ধামরাই উপজেলা সহ ধামরাই পৌরসভার বড় বাজেটের বিভিন্ন প্রকল্প কাজ চলমান আছে যা ধারাবাহিক ভাবে সম্পন্ন করা হবে।তাছাড়া ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের মানণীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা জেলা আ’লীগ ও বায়রা’র সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ এমপি ইতিপূর্বে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ৫০ বছরের উন্নয়নমূলক কাজ আমি আমার এই মেয়াদে পাঁচ বছরেই সম্পন্ন করব। সকলকে নিয়ে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে আধুনিক ধামরাই গড়ে তুলব।

ধামরাই পৌরসভা সহ সমগ্র ধামরাই উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ’কারণে দল যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন তিনিই জয়ী হবেন। অনেকেই মনোনয়ন চাচ্ছেন। দল যাকে যোগ্য মনে করবেন এবং যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষে সম্মিলিত ভাবে কাজ করে যাবেন। আর আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচিত হয়ে

বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকারের মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের প্রখ্যাত নগর পরিকল্পনাবিদদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ধামরাই পৌর এলাকার উন্নয়নে একটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।

এছাড়াও মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনা অনুযায়ী পৌর এলাকার শিক্ষিত বেকার তরুন- তরুণীদের জন্য আইসিটি পার্ক, মানবিক বাসযোগ্য সবুজ নগরী গড়ে তোলা, প্রবীন ও নবীনদের নিয়ে ধামরাই ক্লাব নামে বা যে কোন নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলা, শহরের ভাসমান ব্যবসায়িদের জন্য পরিকল্পিত ভাবে স্হায়ী ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে তোলা, পৌর শহরের ময়লা- আবর্জনা অপসারণ করে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বায়োগ্যাস ও জৈবসার প্রস্তুত করে বিনামূল্যে পৌর নাগরিকদের মাঝে বিতরণ করা, ধামরাই এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে একটি যাদুঘর স্হাপন করা, ধামরাই পৌরসভার যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, নদীকে দুষণমুক্ত করে পরিবেশ বান্ধব উপ-শহর গড়ে তোলা মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত পৌরসভা গড়া সহ আরো বিবিধ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।