প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা
গত ৭ অক্টোবর দৈনিক পাহাড় বার্তা ও দৈনিক চকরি পত্রিকাসহ কয়েকটি অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ৫ নং সরই ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের লম্বাখোলা গ্রামের রহমতখোলা বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সংবাদে রফিকুল ইসলাম কর্তৃক “উক্ত মসজিদের জায়গা জবর দখলের অভিযোগ মর্মে যে খবর প্রকাশিত হয়। আমি মোঃ রফিকুল ইসলাম উক্ত মসজিদের সেক্রটারি, গত ০৭ অক্টোবর তারিখে প্রকাশিত মিথ্যা, ভুয়া ও কতিপয় মহলের উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত, সংবাদের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।”
প্রতিবাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে উল্লেখ করা হল। এই প্রতিবাদের কারণগুলো নিম্ম উল্লেখ করলাম।
১। অত্র এলাকার মুরুব্বী মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, আমি মসজিদকে ৪০ (চল্লিশ) শতক জমি দান করিয়ছি। কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোন দানপত্র দলিল বা কোন ডকুমেন্টস নাই। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি হইল আব্দুর রশিদের ক্রয়কৃত জায়গার দক্ষিণ পার্শ্ববর্তী জায়গা তিনি মুখে মুখে মসজিদেকে দান করিয়াছেন, কিন্তু বাস্তবে তিনি ঐ জায়গা অন্য একজনকে বিক্রয় করিয়া দেয়াছেন। ইহা ছাড়াও কয়েকবছর পূর্বে আব্দুর রশিদের জায়গার বাঁশ ও গাছ আব্দুর রশিদ অন্য একজনের নিকট মেয়াদী বিক্রয় করিয়াছিল। কিন্তু তখন আব্দুল আজিজের কোন প্রতিক্রিয়া ছিলনা।
২। সংবাদে প্রকাশিত হয় আমি রফিকুল ইসলাম রাতের আঁধারে মসজিদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করি । প্রকৃত বিষয় হইল উক্ত জায়গা আব্দুল খালেক ১৯৮২/৮৩ ইং সনের ১৫৮২ নং বন্দোবস্তি মোকদ্দমা মুলে ভোগ দখলে থাকিয়া ২০০৬ ইং সালে আমি রফিকুল ইসলামের পিতা মোঃ আব্দুর রশিদ এর নিকট বিক্রয় করিয়া দেয়। যাহার জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং ৪৮৩/২০০৬, ১৬/০৫/২০০৬
ইং বান্দরবান। সুতরাং রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের কোন প্রশ্নই আসেনা।
৩। “গয়ালমরা এলাকার মোঃ মনিরুজ্জামান, আব্দুল মন্নান, বারেক হোসেনসহ অনেকে বলে আমার পিতা আব্দুর রশিদ জায়গা দাবি করিয়া আমি রফিকুল ইসলাম মসজিদ মাদ্রাসার জায়গা বিক্রি করিয়া দেয়।” এই কথটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার পিতার নিজ নামীয় হোল্ডিং নং আর/৪৪৫ এর জায়গা হইতে ৩.৫০ (তিন একর পঞ্চাশ শতক) একর ও আর/৪৪৬ নং হোল্ডিং এর জায়গা হইতে ৩.৫০ (তিন একর পঞ্চাশ শতক) একর এবং আমার পিতার নামে ক্রয়সূত্রে আর/৪৩৭ নং হোল্ডিং হইতে ৪.০০ (চার) একর মোট ১১.০০ (এগার একর) জায়গা বিক্রয় করিয়াছেন। যাহা অন্য ৩য় পক্ষ জায়গা পরিমাপ না করিয়া নিজেদের ইচ্ছামত সীমানা পিলার দেয় এবং আমাকে সামজের চোখে বিতর্কিত করে। মসজিদকে যে জমি/জায়গা আমার পিতা দান করিয়াছেন তাহা যথাযথ বহাল রহিয়াছে। উল্লেখ্য যে, মোঃ মনিরুজ্জামান, আব্দুল মন্নান, বারেক হোসেনসহ অনেকে তাহারা সকলেই অন্য ৩য় পক্ষের কর্মচারি।
৪। নুরুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ সামশুল আলম মোল্লা তিনি অভিযোগ করেন যে, মসজিদ কমিটি, মসজিদ মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাত করেন। উক্ত বিষয় নিয়া অত্র এলাকার মোঃ রায়াহান বিগত কিছুদিন পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ এবং কেয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে বিচার দায়ের করেন। পরবর্তীতে রায়াহানের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সমাধান করা হয়, যেখানে প্রমাণিত হয় যে, সামাজিক সদস্যগণের মধ্যে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়। অর্থ আত্মসাতের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই।
৫। মোঃ কামাল সর্দার অভিযোগ করেন যে, হেফজখানায় আগে ছয়শত টাকা করিয়া মাসিক ফি দিয়া লেখাপড়া করিত। এখন এক হাজার পাঁচশত টাকা করিয়া ফী দিতে হয় বিধায় হেফজখানায় বহু ছাত্র কমিয়া যায়। কথাটি সম্পুর্ণ মিথ্যা। হেফজখানায় পূর্বে ছিল পঁয়ত্রিশজন ছাত্র বর্তমানে হেফজখানায় ছাত্রসংখ্যা বাড়িয়া হয় পঞ্চাশজন।
৬। মোঃ নুরুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ সামশুল আলম মোল্লা তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, শুধু তিনিই নাকি মসজিদ মাদ্রাসার বিষয় নিয়া প্রতিবাদ করেন কমিটির অন্যজনেরা সুবিধাভোগ করেন বিধায় সকলে চুপ থাকেন। অথচ তাহার পিতা সামণ্ডল আলমই দীর্ঘদিনের সভাপতি। সুতরাং তিনিই সবকিছু জানেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম অযথাই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হইয়া সমাজের সদস্যদের মধ্যে ঝঘড়াবিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরর্থক কথাবার্তা বলেন।
৭। মোঃ নুরুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ সামণ্ডল আলম মোল্লা তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, মসজিদের জায়গা নামজারি করিবার কথা বলিয়া সমজিদ কমিটি বহু টাকা আত্মসাত করিয়া ফেলে কিন্তু কোন ধরণের নামজারি করে নাই।আলহামদুলিল্লাহ, মসজিদ কমিটি তিনটি জায়গা ক্রয় করিয়াছে যাহা নামজারি করিয়া মসজিদের নামে জমাবন্দি হইয়া তৌজিতে রেকর্ডভুক্ত হয়। সকল কাগজপত্র সংরক্ষিত আছে।
৮। বিগত ০৭/১০/২০২২ ইং তারিখে দৈনিক পাহাড় বার্তা ও দৈনিক চকরি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটিতে আরো উল্লেখ করা হয়; “০৫ নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি জানেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি তাবলীগ হইতে আসিলে সকলে বসিয়া সামাধান করিব”। বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট জানিলে তিনি বলেন, “০৭/১০/২০২২ ইং তারিখ উক্ত বিষয় আমি কিছূই জানি না। আমাকে কেউ ফোনও করেন নাই।” সারসংক্ষেপ হইল যে,মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলামের সহিত উক্ত জায়গা নিয়া অন্য এক ৩য় পক্ষের মামালা চলমান রহিয়াছে। অত্র এলাকার কিছু সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষী মহল ঐ ৩য় পক্ষের পক্ষ নিয়া সামজে বিশৃংখলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাইতেছে। ইহাছাড়া সামাজের সামাজিক কবরস্থানের জায়গা নিয়া ৩য় পক্ষের মামলা চলমান রহিয়াছে। সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করিয়া “ঘোলা জলে মাছ শিকার করার মত” মসজিদ কমিটি পরিবর্তন করিয়া উক্ত মামলা নশ্যাৎ করিবার পাঁয়তারা করিতেছে। এদিকে কারা এই ৩য় পক্ষ? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবাদকারী রফিকুল ইসলাম জানান, ৩য় পক্ষ হচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লোকজন।