জেলার খবর

অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানালেন দেবী দুর্গাকেঃ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো পুজার আনুষ্ঠানিকতা

বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ

অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানালেন দেবী দুর্গাকেঃ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো পুজার আনুষ্ঠানিকতা

বগুড়ার সোনাতলায় বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনের জন্য এসেছিল দেবী দুর্গা পিত্রালয়ে আর দশমী পুজোর পড়ে দেবী আবার ফিরে গেলেন কৈলাসে।

১১ই অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল অপরদিকে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের এই উৎসব। ১৫ই অক্টোবর শুক্রবার সকালে উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে বিজয়া দশমীর পুজো শুরু হয় পুজো শেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী রমনীরা দেবীকে সিঁদুর পরিয়েই একে অপরের সিথীতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়।

দেশের কিছু জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে এবারের শারদ উৎসবের কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। সোনাতলার বেশ কিছু এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের দেবী দুর্গাকে সদর ইউনিয়নের আড়িয়াঘাট বাঙ্গালী নদীতেই বিসর্জন দিয়ে থাকে ।সে দিকটা লক্ষ্য রেখে আড়িয়াঘাটে পুলিশি নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো।

থানা পুলিশ বিসর্জনের ওই জায়গাটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছিল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোনাতলা সদর সহ প্রায় ৮/৯ মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা সহ মন্দিরের লোকজন বিকেল থেকে নৌকায় চড়ে শোভা যাত্রা করে। সেই নৌকা শোভা যাত্রা দেখার জন্য নদীর দুই তীরে শত শত দর্শনার্থীদের ভিড় পড়ে যায়। শোভা যাত্রা শেষে সন্ধ্যার আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের আরাধ্য দেবী দুর্গাকে বাঙালি নদির জলে বিসর্জন দিয়ে দেন।

মানবাধিকার কর্মী বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার বলেন, দেশের কিছু জায়গায় বিশৃঙ্খলার খবর শুনতে পেয়েছি কিন্তু সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে এ উপজেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সে কারণে তিনি থানা পুলিশকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসীম কুমার জৈন নতুন বলেন,অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার তিনিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন থানা প্রশাসনকে। বাঙ্গালী নদীর ওখানে গিয়ে দেখা গেল সোনাতলার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)রেজাউল করিম রেজাকে।

সে সময়ে তিনি প্রতিনিধিকে জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ।এ উৎসবে যাতে করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের আরাধ্য দেবীকে বিসর্জন দিতে পারে সে লক্ষ্যে আমি দুপুর থেকে বাঙ্গালী নদীর এখানে অবস্থান নিয়েছি এবং এ উপজেলায় মোট ৪৯টি মন্দিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে মন্দির কমিটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button