জেলার খবর

দেশব্যাপী মন্দির, মন্ডপে হামলা ভাংচুর,ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ, নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ধামরাইয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশব্যাপী মন্দির, মন্ডপে হামলা ভাংচুর,ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ, নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ধামরাইয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দুদের মন্দিরে, দুর্গাপূজা মন্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর,বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানি,হত্যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে শনিবার দেশব্যাপী কর্মসুচির ধারাবাহিকতায় ঢাকার ধামরাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, ব্রাহ্মন সংসদ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি সহ সকল জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন এর ধামারাই শাখার সংগঠনসহ ধামরাইয়ের বিভিন্ন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

শনিবার ধামরাই উপজেলা পরিষদের প্রধান গেইট প্রাঙ্গণে বেলা এগারটার দিকে সকল সংগঠন এর নেতা-কর্মী,এতদ্ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকের অংশ গ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে এখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ধামরাই বাজার হয়ে যাত্রাবাড়ি,যাত্রাবাড়ি থেকে মাধববাড়ি ঘাট হয়ে ধামরাই উপজেলা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

বক্তারা অবিলম্বে সকল দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের ফাসির দাবী করেছে।
সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের নেতা বর্মী ও সকল শ্রেণী পেশার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অবস্থান ধর্মঘট.প্রতিবাদ সভা,বিক্ষোভ মিছিল,ও সভা করেছে।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ঢাকা জেলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি সাংবাদিক রনজিত কুমার পাল (বাবু), শ্রীশ্রী যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত বণিক. হিন্দু মহাজোটের ঢাকা জেলা কমিটির সহ সভাপতি খগেশ রাজবংশী,হিন্দু মহাজোট ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি সুব্রত পাল, বিশ্ব হিন্দু হিন্দু পরিষদ ধামরাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্তোন বণিক .ব্রাহ্মণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হারাধন চক্রবর্তী, ধামরাই উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ন আর্চার্য,সহ অনেকে।

সুকান্ত বণিক বলেন-বিগত সময়ে নাসির নগর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় বিচার হয় নাই।বিচার হবেনা এই ঘটনারও কিছু দিন হৈ চৈই করবে। অষ্টমী পুজার সময় যে ঘটনা ঘটলো তার ফল শ্রæতিতে যে সারা বাংলাদেশে অথ্যাচার নির্যাতন হলো আমাদের ভাইয়েরা মারা গেলো এর এক সময় দেখবেন ঠান্ডা হয়ে যাবে ,বিচার হবে না।কারন বাংলাদেশের হিন্দুরা তেমন প্রতিবাদ করেন না।আপনারা প্রতিজ্ঞা করেন ,আজ থেকে যে কোনো অন্যায় অত্যার হলে আপনার রাস্তায় নামবেন।

কোনো শক্তির মাথা নত করবো না। আমি ও প্রত্যেক হিন্দু এই রাষ্ট্রের নাগরিক।এই রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে হবে। বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিলে রাষ্ট্রের জন্য কলংক হবে।আর শিয়াল শকুনেরা ভর করবে। ২৭ পার্সেন হিন্দু থেকে আজ ৭ পার্সেনে নেমে এসেছে।এরা একটা প্ল্যান করছে মাঝে মধ্যে একটা করে ঝাকুনি দেবে ,কিছু হিন্দু এদেশ থেকে চলে যাবে ,তার সম্পতি ব্যবসা বাণিজ্য এরা দখল করে নিবে।

হিন্দু মহাজোটের ঢাকা জেলা কমিটির সহ সভাপতি খগেশ রাজবংশী বলেন যে ভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন হয়েছে,বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে ৭১ কেও হার মানায়। বর্তমান সরকারের কাছে আমার একটাই দাবী,সরকার যদি অভয় নগর,নাসির নগর ও সুনাম গঞ্জের ঘটনায় সত্যিকারের বিচার করতো আজ ঘটনা ঘটতো না।যে হেতু স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার। আপনাদের কাছে আমাদের দাবী এই বিচার যেনো শক্ত হাতে দমন করুন।

রনজিত কুমার পাল (বাবু) বলেন- দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দুদের মন্দিরে, দুর্গাপূজা মন্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর,বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানি,হত্যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে এ’ বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন মন্দির ভাংচুর, হত্যাসহ নৃশংস নারকীয় ঘটনার বিচারের মাধ্যমেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন,সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্হা,সহিংসতায় আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান,এবং ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির গুলোর পুননির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং এ’ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button