সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের কি লজ্জা লাগেনা? হিন্দু মানুষের দ্বায়িত্ববোধ বিবেক মনুষ্যত্ব কোথায়?
বিজয় চন্দ্র সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(কিশোরগঞ্জ)
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের কি লজ্জা লাগেনা?
হিন্দু মানুষের দ্বায়িত্ববোধ বিবেক মনুষ্যত্ব কোথায়?
কুষ্টিয়ার মিরপুরে করোনায় মারা যাওয়া স্বামীর লাশ নিয়ে পুরো রাত শ্মশানে কাটিয়েছেন কল্পনা রানী কর্মকার নামে এক বৃদ্ধা। লাশ সৎকারে শ্মশান কমিটি কিংবা আত্মীয়-স্বজন কেউ এগিয়ে আসেননি। রবিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সুলতানপুর গ্রামের কয়েকজন মুসলিম যুবকের সহায়তায় শ্মশানের পাশে লাশ সমাহিত করা হয়। মিরপুর উপজেলার পৌর শ্মশানের ঘটনা এটি।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (০৩ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিতলা এলাকার প্রফুল্ল কর্মকারের (৭০) মৃত্যু হয়। রাতেই অ্যাম্বুলেন্সযোগে মিরপুর পৌর শ্মশানে তার লাশ নিয়ে যান স্ত্রী কল্পনা কর্মকার। মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শ্মশানে আসেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। লাশ সৎকারে অনীহা প্রকাশ করেন স্বজনরাও।
কল্পনা রানী কর্মকার জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্স লাশ নিয়ে যখন শ্মশানে পৌঁছায় তখন মধ্যরাত। শ্মশান কমিটির সদস্যদের বিষয়টি জানালে শ্মশানের গেটের চাবি দিলেও আসেননি কেউ। লাশ নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ফেরত যায়। এরই মধ্যে শুরু হয় বৃষ্টি। পরে লাশ শ্মশানের পাশে রেখে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় আশ্রয় নেন কল্পনা। সেখানে একাই রাত পার করে দেন। সকাল পর্যন্ত অপেক্ষার পরও লাশ সৎকারে আত্মীয়-স্বজন কিংবা শ্মশান কমিটির কেউ আসেননি।