নিজ কর্ম ও পরিশ্রমে বালু পাথর শ্রমিক নুর উদ্দিনের দিন বদলের গল্প
মোঃ আলা উদ্দিন, দোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
নিজ কর্ম ও পরিশ্রমে বালু পাথর শ্রমিক নুর উদ্দিনের দিন বদলের গল্প
শুরু করেছিলেন শূন্য হাতে। কাজ করতেন বালু পাথরের নৌকায়। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার অজপাড়াগাঁয়ের পরিশ্রমীী যুবক নুর উদ্দিন মিয়া। জীবনের শুরুটা বালু পাথরের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। বড় হওয়ার স্বপ্ন ও দেখতেন তিনি।
সততা ও কঠোর পরিশ্রমের সাথে আপোষ করেননি কখনো।
শ্রমিকের কাজ করে একটু একটু সঞ্চয় করতেন। সেই সঞ্চয় দিয়ে তিনি ষ্টিল-বডি নৌকা ক্রয় করে বালু পাথর মানুষের বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতেন। তারপর বিভিন্ন স্থান থেকে ইট বালু পাথর এনে স্টক করে রাখে। সেখান থেকে ন্যায্য মূল্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় বালু পাথর সাপ্লাই দিয়ে বিক্রি করে। নুর উদ্দিন আজ বেশ কয়েকটি কারখানার মালিক। সেই সাথে কোটিপতি বললেও ভূল হবে না, পরিশ্রমী যুবক নুর উদ্দিন মিয়া। তার অধিনে কাজ করছেন স্থানীয় আরও (-দেড়শতাধিক) ১৫০ শ্রমিক। হাতের কাছে কাজ পেয়ে খুশি শ্রমিকরাও।
কে সেই নুর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল এন্টারপ্রাইজের মালিক, বালু পাথর ব্যবসায়ী দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম নৈনগাঁও গ্রামের মৃত মজমিল মিয়ার পুত্র তিনি। সংসার জীবনে ৪ ছেলে ২ মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই আছেন তিনি।
নুর উদ্দিন মিয়া সম্পর্কে স্থানীয়রা যা বললেন, আমরা তার প্রতিটা কাজে অনুপ্রেরণা পাই। সে বর্তমানে অনেক সহায়-সম্পত্তির মালিক কোটিপতি ও বটে। ব্যক্তি হিসেবে সেই আগের মানুষটিই আছেন।
প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে নুরু উদ্দিন মিয়া বলেন, নিজের পরিশ্রম আর চেষ্টায় এত দূর এসেছি, কারু করুনা বা দয়ায় নয় ? একসময় খুবই অভাব অনটনে দিন কাটত। ভালো পরিচ্ছদ তো দূরের কথা, ছেলেমেয়েদের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দিতেই হিমশিম খেতে হত। তখন থেকে শুরু হলো নিজেকে তৈরী করার চিন্তা, নিজে অনেক পরিশ্রম করে সফলতা পেয়েছি। বর্তমানে আমার ২ টা বড় ষ্টিল বডির নৌকা, একটা পাথর ভাঙার ভোল্ডার মেশিন, ট্রাক্টর সহ ইট, বালু, পাথরের ব্যবসার সাথে ছোট খাট ঠিকাদার হিসাবেও কাজ করছি।
আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের নাম শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ। আমার প্রতিষ্টানে ১৫০/২০০ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে আছে। আমি অসহায় পরিবারের লোকজনকে কাজ দিতে পেরে গর্ববোধ করছি।
শ্রমিক রুকন মিয়া জানান, নুর উদ্দিন মিয়ার ইট, বালু, পাথর কারখানায় আমার মত শত-শত শ্রমিক কাজ করে তাদের পরিবার ও সংসার চালাচ্ছে।
নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, নুর উদ্দিন একটা ভালো ছেলে, কঠোর পরিশ্রম করে আজ কোটিপতি হয়েছ। সততাই তার মূল লক্ষ্য তাই প্রতিদিন বহু লোক ঘর বাড়ি তৈরী করতে নুর উদ্দিন মিয়ার শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ থেকে ইট, বালু, পাথর নিচ্ছে।