যশোরের মনিরামপুরে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে ছাত্রলীগের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও মানববন্ধন।
আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রতিনিধি-(যশোর)
যশোরের মনিরামপুরে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে ছাত্রলীগের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও মানববন্ধন।
নোয়াখালীর নারী নির্যাতনের ঘটনাসহ সকল ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করণসহ বিভিন্ন দাবীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন,মানববন্ধন কর্মসূচী ও পথসভা আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার সন্ধায় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মণিরামপুর পৌরশহরের দক্ষিন মাথায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপজেলা, পৌর, মণিরামপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগসহ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করে।
এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান, ফরহাদ হোসেন,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, মণিরামপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান দ্বীপ, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও খানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওলিয়ার রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও খেদাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাদিউজ্জামান ফয়সাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও মণিরামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুর রহমান, ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাইদুর রহমান, প্রকৌশলী রায়হান কবির প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ধর্ষক-ধষকই, তার কোন দল নেই। সে যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাকে দ্রæততার সাথে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ধর্ষণের বিচারের ক্ষেত্রে কিছুটা আইনি জটিলতা আছে, আইনি দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক সময় অপরাধী পার পেয়ে যায়।
আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে যেন কোন ধর্ষক ছাড়া না পাই সেদিকে দৃষ্টি দেবার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। যারা ধর্ষক বা ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা হয়। এর ফলে যারা এই ধরনের মন-মানসিকতা লালন করে, তারা ভয় পাবে।
একইসাথে ধর্ষককে যাতে সমাজের নিকৃষ্ট প্রাণি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পারিবারিকভাবে হোক বা সামাজিকভাবে হোক আমরা যদি তাদের বয়কট করতে পারি, তাহলে সমাজে ধর্ষণের ঘটনা কমে আসবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সর্বসময় নির্যাতিতদের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন।