বন্যায় সীমিত আকারে চলছে বাস, ৩১ ট্রেনের যাত্রা বাতিল
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানিতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। যার প্রভাব পড়েছে সারাদেশের যোগাযোগব্যবস্থায়। ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মূল রেললাইন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশের ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট যোগাযোগব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বন্যার কারণে মোট ৩১টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল ও আংশিক বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে গতকাল সকাল থেকেই চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সব লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক জায়গায় রেললাইনে পানি উঠে গেছে। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যার কারণে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ৩১টি ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন সেকশনে নিচের মাটি সরে গিয়ে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দূরপাল্লার বাসগুলো একবারে বন্ধ না করে সীমিত আকারে চলছে। সকালেও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে বাস ছেড়েছে। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় বাসের সংখ্যা ছিল কম।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলের জেনারেল ম্যানেজার জানান, বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি। বাস সীমিত আকারে চলছে। তবে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পথে বাস চলাচল একবারেই বন্ধ আছে।