জেলার খবর

অল্প বৃষ্টিতেই বাঁশখালীর গন্ডামারার রাস্তা-ঘাটের নাকাল অবস্থা, জনদূর্ভোগ চরমে।

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)

অল্প বৃষ্টিতেই বাঁশখালীর গন্ডামারার রাস্তা-ঘাটের নাকাল অবস্থা, জনদূর্ভোগ চরমে।

ঘন বর্ষার পুরোটা সময় জলাবদ্ধতার জলে ভেসেছে কৃষকের ধান, ক্ষেতের ফসল। শতকরা ৭০ ভাগ পুকুরের মাছ ভেসে গেসে খালে-বিলে। অনেক বাড়ি-ঘর দির্ঘসময় ধরে ভেসেছে ২/৩ ফুট পানির নিচে।

ক্ষত-বিক্ষত হয়ে দুপাশের জমির সাথে মিশে গেছে জনচলাচলের গ্রামীন রাস্তা-ঘাট। বর্ষার বিদায় বেলায়ও কমেনি জনদুর্ভোগ, অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে শতকরা ৫০ ভাগ রাস্তা ডুবে আছে পানির নিচে, বাকি ৫০ ভাগও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগীতো বটেই, মানুষের চলাচলের ও অনুপযোগী।

রাস্তা-ঘাটের বেহাল এ চিত্র চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সময়ের গূরুত্বপুর্ণ লোকালয় গন্ডামারা ইউনিয়নের। কেননা, এ এলাকায় তিল তিল করে গড়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম বেসরকারী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ১৩২০ মে;ও; ক্ষমতাসম্পন্ন এসএসপাওয়ার প্ল্যান্ট।
২৪ অক্টোবর, শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ইউনিয়নের পাওয়ার প্ল্যান্টের সীমানা ঘেঁষে ৪ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বুক চিরে ১ নং ওয়ার্ডের দিকে চলে যাওয়া অনেক প্রাচীন প্রশস্ত মাতব্বর সড়কটি প্রায় ৩ কি:মি: ডুবে আছে পানির নিচে।

মাতব্বর সড়কের দু’পাশে সম্প্রতি অনেকগুলো দৃষ্টিনন্দন নয়নজোড়ানো আলিশান বাড়ি এবং শ্রমিকদের জন্য ভাড়া বাসা গড়ে উঠলেও অজানা কোন রহস্যজনক কারনে গত কয়েক বছরে গুরুত্বপুর্ণ প্রাচীন এ সড়কটি পাকা বা ব্রিকসলিনতো দুরের কথা, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যানও এক মুঠো মাটি দেয়নি, এর উপর পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজের কারনে “ মড়ার উপর খড়ার ঘা” হিসাবে সৃুষ্ট হয়েছে জলাবদ্ধতা।

এলাকার সবখানে মরুভূমির মত খাাঁ খাঁ করলেও মাতব্বর সড়কটি ফেভিকল গ্লূ’র মত কাদামাটিতে আঁটকে রাখে জনতার দুটি পা। আর একটু শুকালেই প্রতিদিন সহ্য করতে হয় শত শত ট্রাক, এসকেভেটর ও সিএনজি’র নির্মম দাপট। হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, এবং পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত চলাচলের গুরুত্বপুর্ন এ মাতব্বর সড়কটি অভিশপ্ত এক সড়কে রুপ নিয়েছে।

এলাকার লোক-জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেম্বার চেয়ারম্যানরা আশ্বাষ দিয়ে দিয়েই বছরের পর বছর পার করলেও আজেবধি সে আশ্বাষের কোন বাস্তবায়ন মেলেনি।

এলাকার পেশাজীবি লোকজনও নিয়মিত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাতব্বর সড়কটির বেহাল অবস্থায়। স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক মানবজিবন প্রতিনিধি মহিউদ্দিন জানালেন, দির্ঘদিন ধরে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করেও মাত্বর সড়তটির সংস্কার ও উন্নয়নে কোন সাড়া মিলছেনা, এর কারন ও রহস্য কি তাও অজানা বলে জানালেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন।

মাতব্বর সড়ক ছাড়াও সকালবাজার- গন্ডামারা বাজার সড়ক, সকালবাজার- খাটকালী বাজার সড়কের অবস্থাও করুন। এ দুটি গুরুত্বপুর্ন সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা, মানুষের চলাচলও দূরহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। পাওয়ার প্ল্যান্টের হাজার হাজার শ্রমিকের পদভারে প্রকম্পিত গূরুত্বপুর্ণ এ লোকালয়ের ক্ষত-বিক্ষত সড়ক ও রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য জরুরীভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সৃদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button