মাত্র ২০ টাকার ওষুধে সারছে করোনা ভাইরাস।
বাংলাদেশে গবেষকরা ৬০ জন করোনা রোগীর উপর টেস্ট করে দেখেছেন- ইভারমেকটিন সিঙ্গেল ডোজের সাথে ডক্সিসাইক্লিন খেলে রোগীর মাত্র ৩ দিনে ৫০% উপসর্গ হ্রাস পায়, এবং ৪ দিন পুরোপুরি ভাইরাস মুক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. তারেক আলম এ সম্পর্কে বলেন, এটি আমাদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর লেগেছে। আরো আগে যদি আমরা ওষুধ নিয়ে কাজ করতাম, তবে এত দিনে হয়তো অনেককে হারাতে হতো না।
এই গবেষনা শুধু বাংলাদেশে নয়, অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক বা পরজীবীনাশক নাশক ওষুধ ইভারমেকটিনে যে করোনা ভাইরাস সেরে উঠছে তা অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষনা টিম এর আগে দাবী করেছিলো।
গত ৩ এপ্রিল ২০২০তারিখ “Antiviral Research” জার্নালে দেখানো হয় Vero-hSLAM সেল লাইনে করোনাভাইরাস (সার্স-কোভ-২) দিয়ে ইনফেকশন তৈরি করে ইভারমেকটিন প্রয়োগ করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেল লাইনে ভাইরাসের পরিমাণ ৫,০০০ গুণ পর্যন্ত কমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বাংলাদেশী ডাক্তারের বক্তব্য হচ্ছে- কারো মনে হচ্ছে, তার হয়ত করোনা হয়েছে অর্থাৎ উপসর্গ প্রকাশ শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই ওষুধটি খেয়ে ফেলুক। তিনি ইভারমেকটিন একসাথে দুইটা খেতে বলছে। তার বক্তব্য হলো- কারো উপসর্গ প্রকাশ পাচ্ছে,, সেক্ষেত্রে সে ওষুধটি তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলুক। কারণ টেস্ট করানো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যত তাড়াতাড়ি ওষুধটি খাবে তত দ্রুত কাজ হবে। ঐ ডাক্তারের দাবী হলো, ১ সপ্তাহ পর খেলে তা কাজ হবে না।
ইভারমেকটিন ৬ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট হিসেবে বাংলাদেশে ডেল্টা, বেক্সিমকো এবং এরিস্টোফার্মা ফার্মা যথাক্রমে স্ক্যাবো, ইভেরা, ইভ্যাকটিন নামে বাজারজাত করছে। মূলত, ইভারমেকটিন খোসপাঁচড়া রোগে ব্যবহৃত হয়। ডেলটা ফার্মা প্রতি পিস ওষুধের দাম মাত্র ৬ টাকা। বেক্সিমকো ফার্মার ওষুধের দাম ১০ টাকা। এছাড়া ডক্সিসাইক্লিন এর প্রতি পিসের দাম পড়বে মাত্র ২ টাকা ২০ পয়সা।