করোনায় মৃত্যুশূন্য বাংলাদেশ
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে তিন মাসের বেশি সময় পর প্রথম মৃত্যুহীন দিন পার করল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ২১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি। শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ৫৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দেশে করোনায় দিন দেখে বাংলাদেশ। করোনায় দেশে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৮টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৪৯ জনের নমুনা। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৩ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৬০০ জন। এ নিয়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৮ জনে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম প্রাণহানির পর কয়েকদিন দেশ মৃত্যুহীন ছিল। কিন্তু ওই বছরের ৪ এপ্রিল দুজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে শোকের মিছিল শুরু হয়, তা আর থামেনি। শেষ পর্যন্ত এক বছর সাত মাস ১৬ দিন পর ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ।
এরপর করোনার প্রকোপ কমে যায় দেশে। কিন্তু আবারও নেমে আসে করোনার ভয়াল থাবা। বাড়তে তাকে মৃত্যু ও শনাক্ত। প্রতিদিন করোনায় প্রাণহানি ঘটে করোনায়। এরপর আবার গত ৯ ডিসেম্বর করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে মৃত্যুশূন্য দিনের সংখ্যা বাড়ে না।
আবার বাড়তে থাকে মৃত্যুর মিছিল। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে বিশ্বে। বাংলাদেশেও নতুন ধরনের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বাড়তে থাকে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত। এরপর দীর্ঘ ৯৬ দিস পর আবার মৃত্যুশূন্য দিন দেখলো বাংলাদেশ।