শত নির্যাতনের পরেও স্বামীর সংসার করতে চাই আখাউড়া পৌর শহরের সরস্বতী।
মোঃ আল আমিন, জেলা প্রতিনিধি-(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
শত নির্যাতনের পরেও স্বামীর সংসার করতে চাই আখাউড়া পৌর শহরের সরস্বতী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌরশহরের মসজিদ পাড়া গ্রামের স্বপন বিশ্বাসের কন্যা সরস্বতী বিশ্বাস বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন মামলার রেফারেন্স পঞ্চায়েত পক্ষ গ্রামবাসী সরদারদের বক্তব্য অনুযায়ী স্বপন মল্লিক ২০০৪ ইংরেজি সালে সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিকভাবে খুবই ধুমধাম করে বিয়ে হয় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার নছরতপুর গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে স্বপন মল্লিক(৪০) এর সাথে আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়া গ্রামের স্বপন বিশ্বাসের কন্যা সরস্বতী বিশ্বাসের।
বিয়ের সময় স্বপন মল্লিক এর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক হিসেবে নগদ ৮০ হাজার টাকা,স্বর্ণালংকার, ফার্নিচার ইত্যাদি বাবদ আরও দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বিয়ের এক বছর পর স্বপন মল্লিক ও স্বরস্বতীর ঐরসে একটি কন্যা সন্তান।
জম্ম গ্রহণ করে যার নাম সাথী রানী মল্লিক (১১) তার কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই স্বরস্বতীর স্বামী তাকে যৌতুক দেওয়ার জন্য নির্যাতন করতো এরইমধ্যে সরস্বতী কে অত্যাচার করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী স্বপন মল্লিক পরপর কয়েকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সরদার গণ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৎকালীন কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ বদরুল ও এস আই হামিদ সহ পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন।
তারপরেও পুনরায় নির্যাতন করলে এবং যৌতুক দাবি করলে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাম্য পঞ্চায়েতের ব্যর্থতার পর ২৫ জুলাই ২০১৪ ইংরেজি সালে কমলগঞ্জ পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সরস্বতী বিশ্বাস অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমলগঞ্জ পৌরসভা তৎকালীন মেয়র মোঃ আবু ইব্রাহিম জামশেদ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা পর্যালোচনা করে যে রায় দিয়েছেন তা অমান্য করেছে স্বপন মল্লিক ও তার পরিবার পরিশেষে মেয়র ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে স্বপন মল্লিক সম্পর্কে পৌরসভার পেডে লিখিত দেন স্বপন মল্লিক পিতা ধীরেন্দ্র নাথ মল্লিক সে একজন অসৎ চরিত্রের লোক পাশবিক নির্যাতন শারীরিক নির্যাতন খোরপোষ না দেওয়া অন্যায় ভাবে মাসের-পর-মাস যৌতুক দাবি সমস্ত সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কারসহ ঘরের ফার্নিচার দেওয়ার পরেও কোন ভাবে তার বদমাইশি থামানো যায় নাই সে গত দেড় বৎসর যাবৎ অবৈধভাবে সম্পূর্ণ ধর্মের নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্যের স্ত্রীকে লোভ-লালসায় পরে অবৈধ যৌন তৃপ্তি ভোগ করেছে গ্রামের পঞ্চায়েত সহ বিষয় টি প্রমানিত হয়েছে।পৌর কার্যালয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা সম্ভবপর নয় বলিয়া অপারগতা প্রকাশ করায় সরস্বতীর পক্ষ কে উর্দ্ধতন আদালতের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে স্বরস্বতীর বাবা স্বপন বিশ্বাস জানান আমি একজন অসহায় মানুষ দিন আনি দিন খায় বাজারে কাঁচামাল বিক্রি করি আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে সরস্বতীর স্বামী স্বপন মল্লিক।আমি কিভাবে দিব ৫ লক্ষ টাকা আর টাকা দিতে পারিনি বলে তাকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করেছে একদিন সরস্বতীর স্বামী স্বপন মল্লিক কোথাকার এক মহিলা মহিলার সাথে বাচ্চা সহ বাড়িতে প্রবেশ করে এবং নিজের স্ত্রী এবং নিজের বাচ্চা বলে দাবি করে ঐ মহিলা মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার রবির বাজারের লন্ডন প্রবাসীর বউ তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি সাত বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে সেই লন্ডন প্রবাসী স্বামী ও তার মহিলার সন্তান কে ফেলে দিয়ে চলে আসেন এই মহিলা স্বপন মল্লিক এর সাথে দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক ছিল একপর্যায়ে বাড়িতে নিয়ে আসলে সরস্বতী প্রতিবাদ করলে পরিবারের কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরিবারের কয়েকজন লোক তাকে মারাত্মকভাবে ভাবে আহত করে তখন কমলগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি আসার এক বছর পর্যন্ত তাদের সাথে কোন যোগাযোগ হয় না ফোন করলে খুবই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সংসার করবে না বলে উল্টাপাল্টা কথা তারপর তাদের অভিভাবক মামা বড় ভাই ছোট ভাই চার-পাঁচজনকে বিশেষ অনুরোধ করলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও মীমাংসার জন্য আমার বাড়িতে দাওয়াত করি তারা আসার পর আমি আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি তারপর বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে তারা আবারও পুনরায় যৌতুক দাবি করেন আমি দিতে অস্বীকার করি তারা তাদের বাচ্চাকে নিয়ে যাবে আমার মেয়েকে নেবে না বলে উল্টাপাল্টা ও অরুচিকর কথাবার্তা শুরু করেন ও
মত ব্যাখ্যা তৈরি হয় এক পর্যায়ে তারা আমার মেয়েকে কিল-ঘুষি থাপ্পড় ও হাতের কাছে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করে আমার বাড়ি থেকে চলে যায় পরে আমি আমার মেয়েকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করি আমি আর পারছিনা আমি এই নরপশুর বিচার দাবি করছি সরকার যেন তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয় যাতে করে কোনো বাবার চোখের জল আর না ঝরে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী উম্মে শবনম মুস্তারী মৌসুমী জানান যেহেতু আমি বাদীপক্ষের আইনজীবী সেহেতু বলতে চাই সনাতন ধর্মের লোক অনেকেই মনে করে ন্যয় বিচার পাওয়া যায় না কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল আইন সকলের ক্ষেত্রে সমান নারী ও শিশু মামলা নং ১০২/২০ নারী ও শিশু আইনের ১১/৩০ধারা অনুযায়ী আদালত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার ওয়ারেন্ট জারি করেছে সরস্বতী সর্বোচ্চ ন্যায় বিচার পাবে বলে আমি আশা রাখছি।