জেলার খবর

৪০ বছরের কর্মজীবনের শেষ দিনটি রঙিন হল সেনবাগের কনস্টেবল আবু হানিফের।

মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

৪০ বছরের কর্মজীবনের শেষ দিনটি রঙিন হল সেনবাগের কনস্টেবল আবু হানিফের।

১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেছিলেন সৈয়দ মোঃ আবু হানিফ। চার দশক নিবেদিত থেকেছেন মানুষের সেবায় ও নিরাপত্তায়।

ক্লান্তিহীন দীর্ঘ পথ পরিক্রমণ শেষে ১ সেপ্টেম্বর তার অবসরোত্তর ছুটিতে গমনকালে চাটখিল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য ‘বিদায় সংবর্ধনা’র। এতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হানিফের হাতে তুলে দেন প্রীতি উপহার, ক্রেস্ট ও লাম্প গ্র্যান্ট চেক।

সাধ্যের সবটুকু দিয়ে দেশ-দশের সেবা করার বিনিময়ে একজন সরকারী কর্মচারী যে সব সুবিধাদি প্রাপ্য হন, ‘লাম্প গ্র্যান্ট’ তার অন্যতম একটি। পেনশন, গ্র্যাচুইটি, লাম্প গ্র্যান্ট ও অন্যান্য প্রাপ্তিসমূহ মুঠোয় পুরতে দেশের সেবায় যৌবন, জীবন ক্ষয় করা মানুষগুলোকে প্রৌঢ়ত্বে এসে ঘুরে বেড়াতে হয় টেবিলে টেবিলে।

শারীরিক ও মানসিক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দিতে অবসরোত্তর ছুটিতে গমনের দিনেই নগদে লাম্প গ্র্যান্ট চেক তুলে দিয়ে সংস্কার, কল্যাণ ও সেবার আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন।

চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ)দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল)মোঃ শাহজাহান শেখ,অফিসার ইনচার্জ,সোনাইমুড়ী থানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও চাটখিল থানার সর্বস্তরের সদস্যবৃন্দ। সপরিবারে সৈয়দ মোঃ আবু হানিফকে নৈশভোজে আপ্যায়নের পর ফুল-সজ্জিত সরকারী গাড়িতে সেনবাগ থানাধীন তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকু সেবাব্রতে নিবেদন শেষে শেষ জীবনে একজন পুলিশ সদস্যের এমন সমাদৃত বিদায় খুব বেশি বাগাড়ম্বর নয়। বাংলাদেশ পুলিশে তার ক্লান্তিহীন অকুন্ঠ অবদানের সামান্য স্বীকৃতি মাত্র। সুখকর ও পরিতৃপ্তির পরিসমাপ্তি তো তার প্রাপ্যই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button