রাঙ্গামাটিতে থেমে নেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ। একদিকে অসচেতনতা অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে যতটা স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন দেখা গেছে বর্তমানে নেই বললেই চলে। যানচলাচল শুরু করে সব দিক থেকে রাঙ্গামাটিতে দেখা মেলে না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলে। যার কারণে হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার (২৯ জুলাই) নতুন আরো ১৮ জন বেড়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও অন্যদিকে বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। বর্তমানে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৫৫জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা.মোস্তফা কামাল ।
তিনি জানান, বুধবার ( ২৯জুলাই) চট্টগ্রাম ভেটেনারী এন্ড আ্যাসিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ৫৭ টি নমুনা রিপোর্টের মধ্যে নতুন করে আরো ১৮ জন কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। যারা নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে রাঙ্গামাটি সদরে ১৭জন ও বাকী ১জন লংগদু উপজেলার বাসিন্দা।
ডা.মোস্তফা কামাল আরো জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত জেলা থেকে মোট ২৯৮৮টি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ২৯৮৮টির মধ্যে ২৮০৬টি রিপোর্ট এসেছে। বাকী রয়েছে ১৮২ টি রিপোর্ট। বুধবার সকালে জেলায় মোট নতুন করে আরো ১৮জন শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছেন মোট ৯জন। তবে সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার হার বেড়েছে অনেক। রাঙ্গামাটিবাসী যদি স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সময় সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করে এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করে তবে করোনা সংক্রমণ কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। রাঙ্গামাটিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অনেকে জানেন না বলেই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে রাঙ্গামাটিতে চলছে যানচলাচল। মুখে মাস্ক ব্যবহার না করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে দৈনন্দিন জীবনে চলছে সিএনজি (অটোরিক্সা),বাসসহ নব ধরনের যানচলাচল। যদিওবা সমিতির নেতাদের দাবি, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাঙ্গামাটিতে চলছে সবধরনের যানচলাচল।