নোয়াখালী’র বেগমগঞ্জের সাবেক ইউএনও মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু
আনোয়ারুল করিম মানিক, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচনের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউএনও মাহবুব আলম উপজেলার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমানের বায়োমেট্রিক মেশিন ৭ হাজার টাকার স্থলে ১৭ হাজার টাকা নিয়ে একটি আইটি অতিরিক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলার ৫ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের থেকে নানা অজুহাতে ২৫ লাখ টাকা আদায় করেন, হাটবাজার ও জলাশয়ের ইজারার টাকা তার সিএ-এর যোগসাজশে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ৫ হাজার টাকা এবং এসএসসি/দাখিল, জেএসসি/জেডিসি, পিএসসি/এবতেদায়ী পরীক্ষার প্রতিটি কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক ১৫ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ, গৃহহীনদের জন্য সরকারি অর্থে গৃহ নির্মাণে অনিয়মসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে শিগগিরই তাকে বদলি ও দুর্নীতির বিচার দাবি করে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয় বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসিকে। এর পর গত ৭ জুলাই স্বাক্ষরিত এক পত্রে তিনি যুগ্ম সচিব অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উন্নয়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে শনিবার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উন্নয়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রনালয়ের চিঠির আলোকে বিভাগীয় কমিশনার স্যারের নির্দেশে আমি তদন্ত করছি। সহসায় তদন্ত রিপোর্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবো।
তবে সদ্য বদলি হওয়া অভিযুক্ত বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসা ও বর্তমান বন্দরবনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম জানান, উপজেলা পরিষদকে স্বচ্ছতার মধ্যে পরিচালনা করতে গিয়ে আমি একটি কুচক্রি মহলের রোষানলে পড়েছি।