দ. সুনামগঞ্জে মামলায় থমকে আছে ১৫১ পরিবারের স্বপ্ন।
আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
দ. সুনামগঞ্জে মামলায় থমকে আছে ১৫১ পরিবারের স্বপ্ন।
কনকনে শীত কিংবা গরমে নেই ঘুমানোর জায়গা। ঘর বানানোর জন্য নেই নিজের জমি। তাই তো তারা গৃহহীন, ভূমিহীন। আর এসব অসহায় পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। শনিবার দেশজুড়ে প্রায় ৭০ হাজার ছিন্নমূল, দরিদ্র পরিবার নতুন ঘর পেয়েছেন। পেয়েছেন মাথা গোঁজার ঠাই। হয়েছেন জমির মালিক। এতে হাঁসি ফুটেছে এসব পরিবারে।
তবে মুজিববর্ষের এমন উৎসবের দিনেও বিষন্ন দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ১৫১ পরিবার। স্বপ্নের ঘর কিংবা জমির মালিক হওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলো। উৎসব থেকে বঞ্চিত হতে হলো। শুধু তাই নয়, মামলার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর আওতাধীন ১৫১ টি গৃহ নির্মাণকাজ।
জানা যায়, সারাদেশের মতো দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ও নির্মান কাজ চলছিলো ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন স্বপ্ননীড়ের’। ১৫১ টি গৃহহীন পরিবারের জন্য উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের বশিরপুর মৌজায় ১ নং খাস খতিয়ানে ৪৩৯ দাগের মোট ২৫.৪২ একর ভুমির মধ্যে ১.৫০ একর ভূমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ‘স্বপ্ননীড়’ এর নির্মান কাজ চলছিল।
তবে গৃহহীন পরিবারের স্বপ্ননীড়ে বাঁধা হয় মামলা। পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার জনৈক আনছার মিয়া নামে এক ব্যক্তি নির্মাণাধীন গৃহের ভূমি ছাতক উপজেলার অংশ দাবী করে বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ জজকোর্টে মামলা করেন। ফলে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গৃহনির্মাণ কাজের স্থগিতাদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। ফলে এই মামলা ১৫১টি গৃহহীন পরিবারের স্বপ্ন পূরণের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন্নাহার শাম্মী আক্ষেপ করে বলেন, দেশে ইতিহাস সৃষ্টির দিনে এই মামলাটি আমার উপজেলাবাসীর স্বপ্নপূরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেছে। আশা করছি শীঘ্রই বিজ্ঞ আদালতের রায়ের মাধ্যমে মামলাটি নিষ্পতি হবে। এবং গৃহ নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে উপকারভোগী মানুষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রায় ৯ লাখ মানুষকে জমিসহ পাকা ঘর করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। আজ শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন