জেলার খবর

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার প্যারাবো এলাকায় বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনটি রাস্তা, কোনটি ব্রিজ জনগণের দুর্ভোগ।

সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার প্যারাবো এলাকায় বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনটি রাস্তা, কোনটি ব্রিজ জনগণের দুর্ভোগ।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার প্যারাবো এলাকায় বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু পানি আর পানি। কোনটি রাস্তা, কোনটি ব্রিজ সেটা বোঝা মুশকিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়াতে নিয়মিত চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিকল্প রাস্তা। সেই বিকল্প রাস্তাটিও বর্তমানে ডুবে আছে পানির নিচে। ফলে হাঁটুর উপর পানিতে নেমেই ছুটতে হচ্ছে গন্তব্যে। ভারী যানবাহন নিয়ে চলাচলে রয়েছে চরম ভোগান্তি। এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দূর্ঘটনাও। এটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার প্যারাবো এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রিজকে ঘিরে সৃষ্ট ভোগান্তির চিত্র। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া এই ব্রিজটির কাজের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি ব্রিজ নির্মাণ। কাজ দেখলে মনে হয়, এই মাত্র কাজ শুরু হলো। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে বিকল্প রাস্তাটি ডুবে থাকায় ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। এই ব্রিজের রাস্তা দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও গাজীপুর-চট্টগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের শাখা রোড। এ ছাড়াও এই রাস্তাটি বন্ধ থাকায় রূপগঞ্জ-সোনারগাঁওয়ের যোগাযোগ বিছিন্ন। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যেসব পরিবহন, সিএনজি, ইজিবাইক, নসিমন, রিকশাসহ আরও অনেক পরিবহন। উপজেলার প্যারাবো এলাকায় নির্মাণাধীন এই ব্রিজের কাজ চলায় এবং বিকল্প রাস্তা না থাকায়, রূপগঞ্জ-সোনারগাঁওসহ ২০টা গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে প্যারাবো এলাকার বাসিন্দা হানিফ মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করেনি। সময় প্রায় শেষ পর্যায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতি ও অবহেলার কারণে আমরা এখন চরম ভোগান্তিতে আছি।’ এক ইজিবাইক চালক হাসেম বলেন, ‘এখন বর্ষাকাল। প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। ব্রিজের পাশের রাস্তাটি এখন চলাচলে উপযোগী নয়। তারপরও সবাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এই পথ ধরে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে যে কি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে তা বোঝানো যাবে না। রাত হলে রাস্তা খুঁজেই পাওয়া যায় না। এক পথচারী কামরুল হাসান শাহিন বলেন, ‘এই বর্ষাকালে আমাদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন হাঁটু পানিতে ভিজে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে ভেঙে ফেলা ব্রিজের পাশে জমির মধ্যে তৈরি বিকল্প রাস্তা দিয়ে কষ্ট হলেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা গেছে। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম তো পুরো রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। এভাবে তো চলাচল করা ঝুঁকির।’ এ দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা এল.জি.ই.ডি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়, তবে শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট। কিন্তু এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এই ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২০লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোয়াজ্জেম এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ পায়। এ বিষয়ে ঠিকাদার মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরে । এছাড়া ব্রিজ নির্মাণ শুরুর তারিখটি আমার জানা নেই, কাগজ দেখলে বলতে পারবো আমি ঢাকা থাকিতো তাই। মানুষ চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তায় আমি একটি বাঁশের সাঁকু তৈরি করে দিচ্ছি তবে গাড়ি চলার ব্যবস্থা ব্রিজ হওয়ার পর। আমি ঢাকা সেন্টাল যুবলীগ করি তাই ঢাকায় থাকতে হয় সবসময়। একসময় ছাত্র লীগে ছিলাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button