নবজাতককে সাভার থেকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে তুলে দিল ধামরাই থানা পুলিশ।
রনজিত কুমার পাল (বাবু)-স্টাফ রিপোর্টার-ঃ
নবজাতককে সাভার থেকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে তুলে দিল ধামরাই থানা পুলিশ।
ধামরাই রাবেয়া মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হইতে পাচারের অভিযোগ পাওয়ার ১২ঘন্টার মধ্যে সাভার হইতে উদ্ধার করে মায়ের কোলে তুলে দিল ধামরাই থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাতে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাটারখোলা এলাকার গুচ্ছ গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকার রাবেয়া মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য আছিয়া বেগমের সাহায্য নিয়ে ভর্তি হন। এসময় তিনি হাসপাতালে একটি ফুটফুটে নবজাতক শিশুর জন্ম দেন। পরে তিনি অভাবের তাড়নায় ওই হাসপাতালের নার্স সাদিয়া খাতুনের কথামত এক দম্পতির কাছে ৬০ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করে দেন। পরে নবজাতক বিক্রির বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকাসহ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ওই হাসপাতালের নার্স সাদিয়াকে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে ধামরাই থানা পুলিশ ওই নার্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিন দিন অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৯শে জুন- ২০২০) সকালে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে। এসময় ওই নবজাতককে কেনার অভিযোগে হেলাল উদ্দিন ও সাথী আক্তার নামের ওই দম্পতিকে পুলিশ আটক করে। পরে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে নবজাতক বিক্রির বিষয়টি শুনে ওই নারীর ভাড়া বাসায় সুতিপাড়া ইউনিয়নের ভাটারখোলা গুচ্ছগ্রাম (সোনালী বার্তা-২)এ উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। ওই নারীর আরও দুই সন্তান রয়েছে। ওই নারী সরকারী গুচ্ছ গ্রামে ভাড়া থাকলেও তিনি কোন সরকারী ঘর পাননি। সন্তানদের মানুষ করার জন্য তিনি সরকারের সাহায্য চেয়েছেন। এদিকে নবজাতকটিকে উদ্ধারের পরে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় ধামরাই থানার দুই পুলিশ অফিসার নবজাতকের মাকে কিছু নগদ টাকা সাহায্য করেন।
এবিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্রী দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, নবজাতকের মাকে সরকারী ভাবে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।