জেলার খবর

পাইকগাছায় শক্তিশালী পানির প্লান্ট নির্মানে এলাকাবাসী প্রতিবাদ; আদালতে মামলাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

পাইকগাছায় শক্তিশালী পানির প্লান্ট নির্মানে এলাকাবাসী প্রতিবাদ; আদালতে মামলাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

পাইকগাছা পৌরসভা কর্তৃক নবলোক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্থাপন করতে যাচ্ছে শক্তিশালী পানি প্লান্ট। আর তাতে এলাকাবাসীর বাঁধা। জানাগেছে, পৌরবাসীর জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ উপজেলা ৭নং গদাইপুর ইউনিয়নে জমি খরিদ করেন। সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে তারা গদাইপুরে নব নির্মিত পানির প্লান্ট নির্মান কাজ করতে যান। এতে বাঁধা প্রদান করে এলাকাবাসী। সর্বশেষ কাজ বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

লিখিত অভিযোগে জানাযায়, পাইকগাছা পৌরসভা ও নবলোক ফাউন্ডেশন পৌরসভায় সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গদাইপুর বাজারের উত্তর পার্শে ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। সেখানে শক্তিশালী একটি পানির প্লান্ট স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করলে এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করেন। স্থানীয় কাজী শুভ বাদী হয়ে গত ১৬ জুন পাইকগাছা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় এম আর ২২৩/২২ নং মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পানির প্লান্ট নির্মান কাজ সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে ও পাইকগাছা থানাকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে পানির প্লান্ট স্থাপনের কাজ বন্ধ করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় কাজী হেদায়েত উল্লাহ জানান, অত্র এলাকায় শক্তিশালী পানির প্লান্ট স্থাপিত হলে পানির স্তর নিচে নেমে যাবে বলে মনে হয়।

উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কামাল সরদার বলেন, গদাইপুর ইউনিয়ন ব্যাপি হাজার হাজার নার্সারী রয়েছে। নার্সারীতে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়।এখানে পৌরসভার শক্তিশালী পানির প্লান্ট স্হাপিত হলে ভৃগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। ফলে নার্সারীর ব্যাবসা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া বলেন, গদাইপুরের সম্পদ যদি তারা না দিতে চায় তাহলে আমার করনীয় কিছু নেই। ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ যেদিকে থাকবে আমি সেইদিকে থাকবো। যদি গদাইপুরের ক্ষতির আশংকা থাকে আমি সে দিকে থাকবো না।গদাইপুরের যেদিকে উপকার হবে আমি সেদিকে থাকবো।

পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের বলেন, মামলা ও অভিযোগ হয়েছে কিনা জানিনা। যদি হয়ে থাকে আদালতে আইনি মোকাবেলা করব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, এ বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল সার্বে দরকার। সেজন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকোশলীকে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দানের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পেলে পরবর্তি প্রজোনীয় ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button