গাজীপুরে বাড়ছে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন এর আগ্রহ হাসপাতালে মানুষের ভিরদ
মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)
গাজীপুরে বাড়ছে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন এর আগ্রহ হাসপাতালে মানুষের ভির
গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা নিতে বাড়ছে মানুষের ভির। নানান জল্পনা কল্পনা শেষে টিকা নিতে আসা মানুষের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।গত ০৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের ন্যায় গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চল্লিশ উর্ধ্ব নারি পুরুষদের কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন দেয়া শুরু করেছ।
জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান। জেলার ৭টি হাসপাতালে প্রতিদিন একযোগে এই টিকা প্রদান করা হবে।হাসপাতাল গুলো হলো শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ হাসপাতাল, রাজেন্দ্রপুর সিএমএইচ এবং কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকেও টিকা দেওয়া হবে।
সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলছে রেজিষ্ট্রেশনের কাজ। রেজিষ্ট্রেশন শেষে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহণের তারিখ ও সময়।প্রতিদিন কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিতে হাসপাতালে ভীর করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা ও নানান পেশাজীবির মানুষ।
টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর সু স্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে বলেন। তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত যে সরকার যথা সময়ে বাংলাদেশর মানুষের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য কোভিড-১৯ টিকা আমদানি করেছেন।
এবিষয়ে শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোঃহাফিজুর রহমান জানান শুরুতে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিতে আসা মানুষের সংখ্যা কম হলেও ক্রমশ মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।সকলেরই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহন করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। এবিষয়ে গাজীপুর সিভিল সার্জন মোঃখাইরুজ্জামান বলেন গত আট ফেব্রুয়ারি থেকে একযোগে সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরে উপজেলায় চল্লিশোর্ধ্ব নারী পুরুষদের কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে এপর্যন্ত তিরিশ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ টিকা নিতে রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ণ করেছে ইতিমধ্যে চোদ্দ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন গাজীপুরে ১ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। যদি টিকা আরও প্রয়োজন হয় তবে সে ব্যবস্থা সরকার থেকে করা হবে। এছাড়াও মহানগর ও জেলায় পর্যায়ক্রমে প্রতিটি নাগরিককে টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।