নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: বাড়ছে লাশের সংখ্যা
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এম এল আফসার উদ্দিন নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃত ছয়জনের মধ্যে দুজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আরিফিন সিদ্দিকি গনমাধ্যমকে জানান, আজ রবিবার (২০ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে বন্দর থানার আল আমিন নগর ও সৈয়দপুরের মাঝামাঝি কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য নাসিম ওসমান ব্রিজের কাছে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন। পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী সাঁতারে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এর আগে রোববার (২০ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে এম এল আফসার উদ্দিন নামক লঞ্চটি ডুবে যায়। স্থানীয়রা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। এতে শতাধিক যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে অনেকে সাঁতরে তীরে উঠেছেন। তবে অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান যাত্রী ও স্থানীয়রা। নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা ২টার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো যাওয়ার পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।