আঞ্চলিক সড়কের যাত্রী ছাউনি-দোকানের পাশে পাবলিক টয়লেট স্থাপনঃ বাজার কমিটির সভাপতি নুরুদ্দিনের দন্ধে পরিবেশ দুষনের আশংক্ষা।
দোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
আঞ্চলিক সড়কের যাত্রী ছাউনি-দোকানের পাশে পাবলিক টয়লেট স্থাপনঃ বাজার কমিটির সভাপতি নুরুদ্দিনের দন্ধে পরিবেশ দুষনের আশংক্ষা।
যাত্রী ছাউনির পাশের ও বাজারের অন্য দোকানীকে হয়রানি করতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার শ্যামলবাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিএন পি নেতা মোঃ নুরুদ্দিনের সুবিধায় সরকারি পাবলিক টয়লেট স্থাপন কাজ শুরু করিয়েছেন। এদিকে জনবসতি এলাকায় এই পাবলিক টয়লেট স্থাপন করায় পরিবেশ দুষনের আশংকা করছেন স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ঐতিজ্যবাহী পান্ডার খাল বাঁধের উপর স্থাপিত শ্যামলবাজারে সেতু এন্টারপ্রাইজ নামে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বাস্তবায়নে এই পাবলিক টয়লেট নির্মান করা হচ্ছে। এটি ছাতক-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের যাত্রী ছাউনির পাশে ও চায়ের দোকান, গার্মেন্টস, ফল-সবজি দোকান আছে এছাড়া বাজার কমিটির কোষাধ্যক্ষ(ক্যাশিয়ার) শহীদুল ইসলামের দোকান সহ কয়েকটি দোকানঘর রয়েছে।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা মোঃ নুরুদ্দিনের বাজার কমিটির কোষাধ্যক্ষ(ক্যাশিয়ার) শহীদুল ইসলামের মধ্যে অন্তর দ্বন্দ্ব থাকায় তার দোকানের পাশে ওই পাবলিক টয়লেট স্থাপন করার জন্য বাজার কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে একাই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে জায়গা দেখিয়ে সেখানে কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য বলেন। তার দেখানো জাগয়ায় নির্মাণ হচ্ছে এই প্রকল্প। তবে ছাতক-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ের ৬/৭ ফুটের ভিতরে ও দোকানিদের দোকানের পাশে এই প্রকল্প স্থাপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সুশীল সমাজ। অনেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের এই অভিয়োগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ।
বাজার কমিটির কোষাধ্যক্ষ(ক্যাশিয়ার) শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্যামলবাজার এলাকায় সরকারি খাস জমি থাকা সত্ত্বেও আমার দোকান ও তার পাশে যাত্রী ছাউনির কাছে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। এর মূলকারণ তার সাথে দ্বন্দ্ব। তবে এই জায়গায় পাবলিক টয়লেট স্থাপন হলে বাজারের পাশাপাশি যাত্রী ছাউনি এবং এলাকার মানুষ চলাচলে দুর্গন্ধে পরিবেশের ক্ষতি হবে। আমরা চাই কতৃপক্ষ ভালো একটি জায়গা নির্ধারণ করে সড়ক থেকে ২০/২৫ ফুট দুরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হোক।
এব্যাপারে দোয়ারাবাজার মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নজির হোসেন বলেন, একটা টয়লেটত আর কিছুদিন পরে আবার স্থানান্তরিত করা যাবেনা, টয়লেট হবে চিরস্থায়ী তাহলে আঞ্চলিক সড়কের এত পাশে দেয়ার কি দরকার। এই জায়গায় টয়লেট স্থাপন করা হলে একটা যাত্রি চাউনি অচল হয়ে পরবে। আর যে স্থানে এলাকার লোকজনে বসার জায়গা এখানে টয়লেট স্থাপন করার পর আশপাশের পরিবেশ ভালো থাকবেনা। আমার দাবী কতৃপক্ষ যথাযথ স্থানে যেন নির্বাচিত করেন।
উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা হারুন মিয়া বলেন, আমরা বলেছিলাম পাবলিক টয়লেটটি রাস্তা থেকে একটু দুরে বসানোর জন্য। বাজার কমিটির সভাপতি তা মানতে নারাজ। যেখানে টয়লেটি স্থাপন করা হচ্ছে সেখানের আশপাশের পরিবেশ বেশী খারাপ হবার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো জনগণের উপকারে সড়ক থেকে একটু দূরে যেন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়।
অভিযোক্ত শ্যামলবাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা মোঃ নুরুদ্দিন জানান, যেখানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে এখানেই এই কাজ হবে। বাজার কমিটির সভাপতির সিদ্ধান্তই সবকিছু। এখানে বাধা দেওয়ার কারো ক্ষমতা নাই।
এব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আক্কাছ আলী বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা থাকার কারণে আপতত শ্যামল বাজারের পাবলিক টয়লেটের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে জায়গা পরিবর্তন করতে হলে জায়গা পরিবর্তন করে পাবলিক টয়লেটের কাজ বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান তিনি।