নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় আসামি ইমন এর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় আসামি ইমন এর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম শিপন হত্যার ঘটনায় আসামি ইমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ রায় দেন নোয়াখালী দায়রা জজ আদলতের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমদ। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ইমন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার জায়কা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড পানাহার এলাকার বাসিন্দা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য আদলতে পাঠানো হলে আসামির বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধ বিচারার্থে আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আসামির উপস্থিতিতে মামলার শুনানি হয়। আসামির সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে ক্ষোভ থেকে অপরাধটি সংঘটন করেন তিনি। ওইসময় তার বয়স ১৯ বছর ছিল। বিষয়টি বিবেচনা করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ইমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে ইমন যেখানে কাজ করতেন সে ওয়ার্কশপের মালিক শহিদুল ইসলামের কাছে ঘুরাঘুরির জন্য তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চায়।
কিন্তু মোটরসাইকেল না দিয়ে ইমনকে গালমন্ধ ও মারধর করে শিপন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপনকে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ইমন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতের কোন একসময় রমনিরহাট বাজারে ওয়ার্কশপের ভিতরে ঘুমে থাকা শিপনকে হাতুড়ি দিয়ে জখম করে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় ইমন।সূত্র আরও জানায়, ওইদিন ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে কুমিল্লার চান্দিনার বানিয়াপাড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি পোল্ট্রি ফার্মের গুদামে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় ইমন।
পরবর্তীতে পুলিশ কিশোরগঞ্জ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইমনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।অন্যদিকে, হত্যার পরদিন নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।