জেলার খবর

সরিষার হলুদ ফুলে মনোমুগ্ধকর চলনবিল

ছবি: প্রতিনিধি

চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। হলুদ রঙের ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত। মৌমাছি আর প্রজাপতির আনাগোনায় সরিষার মাঠগুলো হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

জানা যায়, স্বল্প খরচ ও শ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে দিন দিন বাড়ছে সরিষার আবাদ। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এ রবিশস্যের দামও রয়েছে বেশ। আর ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে সরিষা চাষ করছেন অনেকে। তাছাড়া সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে একদিকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা, তেমনি জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার কৃষকরা সরিষার আবাদে বেশি ঝুঁকেছেন। গত মৌসুমে ৭৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এবার ৭৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এরমধ্যে টরি-৭ ও বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার খুবজীপুরের শ্রীপুর গ্রামের চাষি শরিফুল ইসলাম রেজো বলেন, রসুনের আবাদ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই সরিষার ভালো দাম থাকায় রসুনের লোকসান পুষিয়ে নিতে ২৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে বিঘাতে ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা হয়। প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ২ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে। একই গ্রামের শাকিল আহম্মেদ বলেন, খাবার তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। এতে কিছুটা হলেও সঞ্চয় হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ জানান, মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button