মণ্ডপে পাওয়া কোরআন শরীফটি বাংলাদেশে ছাপা নয়: পুলিশ
কুমিল্লার পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
এদিকে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পাওয়া পবিত্র কোরআন শরীফটি বাংলাদেশে ছাপা হয়নি, বরং এটি সৌদি আরব থেকে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ছাপা, কাগজ ও ক্যালিগ্রাফির কাজ থেকে আপাতদৃষ্টিতে এটি সৌদি আরবে ছাপা বলে মনে করছে পুলিশ। কোরআন শরীফটি ঘটনার আগের রাতেই আনা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার পর বুধবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ গাঢ় সবুজ রংয়ের কোরআন শরীফটি নিয়ে যায়। এটি এখন মামলার আলামত হিসেবে কোতোয়ালী থানার জিম্মায় আছে।
পুলিশ এখন কোরআনটির পাতায় ও ওপরে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে সন্দেহভাজন আসামিদের হাতের ছাপ মিলিয়ে দেখছে ।
কুমিল্লার ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলার তিনটি থানায় মোট আটটি মামলা হয়েছে। এই আট মামলায় অজ্ঞাত অন্তত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আট মামলায় পুলিশ ও র্যাব ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মোহাম্মদ শাহ জালাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।