জেলার খবর

পিতৃহারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন

আবদুল্লাহ আল মামুন, মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি-(যশোর)

পিতৃহারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন

কত বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবী, কেউ তো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নিচ্ছে আবার কারো জন্ম ঠিকানাবিহীন বস্তির কুঁড়েঘরে।

বলছি ছোট্ট মেয়ে রিমির কথা, জন্ম থেকে পিতৃহারা এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ের আশ্রয় হয়েছে মনিরামপুর বাজারের একটি বস্তিতে। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা।
যেখানে তার মাকে তিন বেলার হার যোগাতেই হিমশিম খেতে হয় সেখানে তার কাছে সন্তানের সুচিকিৎসার কল্পনাটা ও প্রায় অসম্ভব।

দিন আসে দিন যায় এভাবেই ছোট্ট রিমি এখন ১০ বছর বয়সে উপনিত হয়েছে। আর দশটা শিশুর মত তারও মনে চায় লেখাপড়া করতে, পৃথিবীর আলো বাতাসে চোখ মেলে তাকাতে, কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সারাক্ষণ রাজ্যের হতাশা নিয়ে বসে থাকে বস্তির ছোট্ট কুটিরের বারান্দায়। হতাশা নিয়ে তাকানোর ভান করে দূর আকাশে।

ছোট্ট এই মায়াময় শিশুটিকে দেখে মনিরামপুর বাজারের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাওলানা আশরাফ ইয়াছিন এর মনে এই শিশুটির জন্য কিছু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়। অতঃপর সে তাকে হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ ডাক্তার তৌহিদুজ্জামানের কাছে নিয়ে যায়।

যশোরের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই চক্ষু বিশেষজ্ঞ তার চোখ পরীক্ষার পর বলেন, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন করালে ইনশাল্লাহ সে বাম চোখে দেখতে পারবে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন আনুমানিক 50 হাজার টাকা। তার অসহায় মায়ের পক্ষে 50 হাজার টাকা ব্যয় করা তো দূরের কথা 500 টাকা ও ব্যয় করা সম্ভব না।

তাই আসুন সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই এবং ছোট্ট রিমির স্বপ্ন পূরণে সহযোগী হই। ছোট্ট রিমি দেখতে চায় পৃথিবীর আলো-বাতাস, হতে চায় হাফেজা। হতে চায় দ্বীনের সেবিকা এতিম এই শিশুর চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের সাহায্য প্রয়োজন সহযোগিতা করতে
মাওলানা আশরাফ ইয়াসিনের মোবাইল, ০১৯১৪৫০০৫৫২ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button