বগুড়ার সোনাতলার হরিখালী ছলুরঘাট রাস্তার কার্পেটিং কাজে বাধাঁ প্রদান করা সহ সাইড প্রকৌশলীকে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করা হয়েছে।
এমনকি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নিকট একজন জনপ্রতিনিধির স্বামী ও ছেলে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি তাৎখনিক বিষয়টি মিমাংসার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান ঘটনাস্থলে গেলে চিহ্নিত ওই মহল তাকে লাঞ্চিত করার অপচেষ্টা পর্যন্ত করে।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে প্রায় ৯ কোটি ১১লক্ষ টাকা ব্যায়ে উপজেলার হরিখালী ছলুরঘাট ১০ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং কাজ চলছে গতকাল শুক্রুবার বেলা অনুমানিক ১১টার সময় উপজেলার ভাইস চেয়ারমান জান্নাতুল ফেরদৌসী রুম্পার বাড়ির নিকট কার্পেটিং কাজ চলাকালে জনপ্রতিনিধির স্বামী এনজিওর পরিচালক ও উত্তর বয়রা গ্রামের মৃত মোন্তেজার রহমান মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল তার বাড়ির নিকট রাস্তায় স্পিডব্রেকার দেওয়ার দাবি তোলে।
এ সময় ওই কাজের ঠিকাদার সাইড প্রকৌশলী শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর মন্ডলপাড়া এলাকার মোঃ আলী জিন্নার ছেলে বিধি অনুযায়ী স্পিড ব্রেকার না দেয়ার কথা জানালে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরবর্তিতে তুহিন ও তার ছেলে তানভির আহম্মেদ ওই প্রকৌশলীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ মারপিট করে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান ওই এলাকায় কাজ করা কালিন সময়ে তুহিন ও তার ছেলে তার নিকট দু লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবি করেছিল তাদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তারা ইষাম্বিত হয়ে সরকারি কাজে বাধাঁ প্রদান করে।
এ ঘটনার পরপরই জুম্নার নামাজের পরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান ত্রড মিনহাদুজ্জান লিটন ঘটনাটির উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার জন্য ভাইস চেয়ারমানের বাবা জাহিদুল ইসলাম স্বামী তুহিন মিয়া ও তার ছেলে তানভির আহম্মেদ একপয্যায়ে তার সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন করে বলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান ত্রাড মিনহাদুজ্জান লিটন জানান।
গতকাল শুক্রুবার রাত ৭টা ১১ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা অবধি মামলা দ্বায়েরের প্রস্ততি চলছিল। এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন ,এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ কিংবা মামলা দেওয়া হলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।