জেলার খবর

ছাতক পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ

আব্দুস ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)

ছাতক পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী খায়ের উদ্দিন।

সুনামগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সোমবার এ মামলা (নং-০১/২১) দায়ের করেন তিনি। পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে সুনামগঞ্জের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা এটাই প্রথম মামলা। এ মামলায় ৫ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী ঘোষিত প্রতিপক্ষ প্রার্থী মোঃ ইরাজ মিয়া, প্রতিপক্ষ প্রার্থী মোঃ আছাব মিয়া, সিলেট পাল্প এন্ড পেপারমিল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল হোসেন চৌধুরী, ছাতকের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল এবং ছাতক পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ খায়ের উদ্দিনের পক্ষে জজ কোর্টের আইনজীবী স্বপন কুমার দাস রায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন। ছাতক পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬ জানুয়ারি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার মঈনুল হোসেন চৌধুরী কেবলমাত্র মেয়র পদের ব্যালট গণনা করেছেন।

কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যালট পৃথক করে গণনা না করেই প্যাকেটে ঢুকিয়ে সিলগালা করে দেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও এজেন্টরা বার-বার ব্যালট গণনার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি এ বিষয়ে কর্ণপাত না করে কেন্দ্র ত্যাগের উদ্যোগ নেন। প্রার্থী সহ অন্যান্যরা এসময় প্রিজাইডিং অফিসারের এহেন কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেন।

পরে পুলিশ সহ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোট গণনা হবে বলে বাদী মোঃ খায়ের উদ্দিন ও অপর প্রার্থী মোঃ আছাব মিয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোট গণনা না করে তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।

প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্রে ভোট গণনা করেন নি এবং বাদী সহ কোনো এজেন্টের স্বাক্ষরও নেননি। কাউন্সিলর পদের ভোট গণনা না করে মনগড়া ফলাফল বিবরণী তৈরি করে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ ইরাজ মিয়াকে বেআইনীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। মোঃ ইরাজ মিয়া কর্তৃক বাধ্য ও বশীভূত হয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মঈনুল হোসেন চৌধুরী এ কাজটি করেছেন।

প্রিজাইডিং অফিসারের মনগড়া ফলাফল বিবরণীর ভিত্তিতে রিটার্নিং অফিসার ঠ-২ ফরমে বেআইনী ফলাফল বিবরণী প্রস্তুত করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছেন। বাদীর দাবি সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট গণনা হলে তিনিই বিজয়ী হবেন। আদালতের মাধ্যমে ভোট গণনার দাবি করেছেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button