জেলার খবর

পাইকগাছা মধুমিতা পার্কের বেহাল দশা! সংস্কার দাবি

এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

পাইকগাছা মধুমিতা পার্কের বেহাল দশা! সংস্কার দাবি

পাইকগাছা পৌরসভা অভ্যন্তরে মিষ্টি পুকুর পাড়ে ৮০’র দশকে প্রতিষ্ঠিত মধুমিতা পার্কের কোন অস্তিত্ব নেই। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। পার্কের পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পৌরবাসী।

জানাগেছে, উপজেলা সদরের পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পুকুরটির নাম মিষ্টি পুকুর। বৃটিশ আমলে পানীয় জলের চাহিদা মিটানোর জন্য পুকুরটি খনন করা হয়। শেখ, কাগজী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দানীয় ৬ বিঘা জমিতে এর অবস্থান। বিনোদন বা অবসরে আড্ডা দেয়ার মত তেমন কোন পরিবেশ না থাকায় আশির দশকে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নুরুল ইসলাম পুকুরের চার পাশে পার্ক গড়ে তোলেন। যার নাম করণ করা হয় মধুমিতা পার্ক।

তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ বেলাল উদ্দীন বিলু পুকুর ও পার্কটি দেখাশুনা করায় বেঞ্চ, দোলনা সহ বিনোদনের সবকিছু সুরক্ষিত ছিল। চারপাশে ছিল উচ্চ প্রাচীর ও পাকা রাস্তা। পার্কের ২/১টি বেঞ্চ থাকলেও তা বসার অনুপযোগী। প্রাচীরের বিলাশ একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সে সময় নলকুপ না থাকায় পুকুর বা কুয়ার পানিই ছিল একমাত্র পানীয় জলের ভরসা। খাবার পানির চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় এ পুকুর থেকে খাবার পানির চাহিদা মিটাত অত্র এলাকার মানুষ।

আজও পৌর সদরে এ পানি হোটেল রেষ্টুরেন্টে ব্যবহার হয়ে আসছে। পুকুরটি খননের পর সম্প্রতি সংস্কার করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু। তিনি বলেন, মধুমিতা পার্কটি পুনরায় গড়ে তুলতে জেলা পরিষদের পরবর্তী সভায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আমি শুনেছি এখানে মধুমিতা নামে একটা পার্ক ছিল। যেহেতু জেলা পরিষদের জায়গা সেহেতু তারা সেখানে আবারও পার্কের কাজ করলে আমার দিক দিয়ে যা যা করার প্রয়োজন সেটুকু করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button