নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন ভবনের এমডিসহ আটক ৮ জন
সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন ভবনের এমডিসহ আটক ৮ জন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সজীবসহ আটজন কে আটক করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া সংবাদ ব্রিফিং করে একই তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমও। তবে কখন ও কোথা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের গ্রেফতার দেখি আদালত
বিচারের কাঠগড়ায় দাড়করানো হবে, অপরাধীদের কোনও পরিচয় হয়না অপরাধী শুধুমাত্র অপরাধী
সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমও আটজনকে আটকের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু ৫২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন সেহেতু এটি হত্যা মামলা হবে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করবে। মামলার পর বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আগুনের সূত্রপাত, কেন আগুন এত ভয়াবহ হলো, কেন এত শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটেছে, কেনই বা আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। এ বিষয় গুলি প্রশ্নবিদ্ধ তদন্ত করা হচ্ছে ঘটনা সত্যি হলেই আইনি ব্যবস্থা হবে।
এটি দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা সবই তদন্ত করে উদঘাটন করা হবে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান গ্রুপের ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে আগুনে বৃহস্পতিবার দুজনের মৃত্যু হয়। একজনের মৃত্যু হয় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার উদ্ধার করা হয় আরও ৪৯ লাশ। তাদের নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩- ৫৫ জনে।
উদ্ধারের পর ৪৯টি মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় চেনার মতো অবস্থা না থাকায় পরিচয় শনাক্তের জন্য নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিচয় শনাক্তের পরই মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে বুঝে দেয়া হবে।
ছবি দেখে লাশ সনাক্ত করা যাচ্ছে না পুরে কঙ্কাল হয়ে গেছে অনেক লাশ ছাইয়ে আংঙ্গার হয়ে গিয়েছে।