বাঁশখালীর গন্ডামারায় মৎস্যজীবিদের মধ্যে “ভিজিএফ”-এর চাউল বিতরন
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীর গন্ডামারায় মৎস্যজীবিদের মধ্যে “ভিজিএফ”-এর চাউল বিতরন
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে সরকার ঘোষিত সমূদ্রে ঝটিকা আহরনে বিরত থাকা ৯৬৩ জন উপকারভোগী জেলেদের মধ্যে “ভিজিএফ”-এর চাউল বিতরন করা হয়েছে।
১৫ জুন’২১ ইং শনিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার ৯ নং গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপকারভোগী জেলেদের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লেয়াকত আলীর অনূমোদনক্রমে চাউল বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, গন্ডামারা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বাদশা ও প্যানেল চেয়ারম্যান-২ কামাল উদ্দিন সিকদার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য বিভাগের এক্সটেনশন এজেন্ট মোহা: জকরিয়া, উপজেলা ট্যাগ অফিসার প্রতিনিধি মাস্টার আবুল বশর, গন্ডামারা ইউপি সচীব মোহাম্মদ জাহাঙ্গির, উপজেলা মৎস্য বিভাগের ইউনিয়ন রীফ মোহাম্মদ ওসমান গনি প্রমূখ:।
উল্লেখ্য: সমুদ্রে মৎস্য সম্পদকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সরকার গত ২০ মে’২১ ইং থেকে ২৫ জুলাই’২১ ইং পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৫ দিনব্যাপী বঙ্গোপসাগরে ঝাটকা নিধন ওআহরন বন্ধ ঘোষনার ফলে মৎস্যজীবি জেলেরা দীর্ঘসময় ধরে বেকার অবস্থায় দিনযাপন করছে। মৎস্যজীবিদের বেকারত্বের এ সময়ে সরকার জেলেদের জন্য “ভিজিএফ”-এর চাল বরাদ্ধ দিয়ে তাদের ঝাটকা নিধন রোধে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।
গন্ডামারা ইউনিয়নের নিবন্ধিত কার্ডধারী শতভাগ জেলেকে ভিজিএফ-এর চাউল প্রদান করা হয়। প্রত্যেক জেরেকে ৫৬ কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়। বরাদ্ধকৃত ৫৬ কেজি চাউল পেয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবি জমির বলেন, আমাদের বেকার সময়ে সরকারের এ সহযোগিতায় আমরা পরিবারের সন্তান-সন্ততি নিয়ে স্বাভাবিক জিবন যাপনে দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে, ২ নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবি মোজাহের মিয়া বলেন, ভিজিএফ’এর চাউল বিতরন নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ শুনা গেলেও আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররা বাটখারায় ওজন করে ৫৬ কেজি চাউল প্রত্যেক জেলেদেরকে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্যানেল চেয়ারম্যানদ্বয় আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ও কামাল উদ্দিন সিকদার বলেন, আমাদের ইউনিয়নে উপকারভোগী জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ-এর চাল বিতরনে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখেই প্রত্যেক জেলেদেরকে চাল বিতরন করা হচ্ছে। আগামীতে আরো স্বচ্ছতা প্রতিষ্টার লক্ষ্যে যেসব জেলে মৃত্যুবরন করেছে, পেশা পরিত্যাগ করেছে, বা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছে তা শর্টআউট করে নতুন জেলেদেরকে উপকারভোগী তালিকায় সংযোজিত করার জন্য যথাযথ নিয়মে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।