নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ নির্ধিদায় ও নির্ভয়ে।কথা বলতে পারে মেয়র আইভী।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এই শহরের মানুষ নির্ধিদায় ও নির্ভয়ে আইভীর সাথে কথা বলতে পারে।
আমি সেই জনগনের সেই মানুষ, যারা আমাকে না দেখে নামে মাত্র আমাকে ভোট দেন, আমার নামের উপরে আমাকে নিয়ে ঝগড়া করেন। আপনাদের দোয়া, ভালবাসা ও আশির্বাদে আমাকে এই পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছেন শত শত ষড়যন্ত্র ও এত এত অপবাদের মধ্যেও। যাই হোক, একটা চেয়ারে থাকলে সে চেয়ারের সমালোচনা থাকবেই। যে কাজ করে তার কাজের সমালোচনা থাকবেই।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি মৌচাক এলাকায় মৌচাক ক্যানেলপাড় থেকে রঘুনাথপুর লিংক রোড পর্যন্ত নবনির্মিত দুই লেনের বীর মুক্তিযোদ্ধা সড়কের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো: ওমর ফারুক, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফ্ফর, মনোয়ারা বেগম, মিনুয়ারা মিনু, আফসানা আফরোজ বিভা ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক।
এসময় সিটি মেয়র আইভী বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলে বেড়ায়, আমি বলতে চাই না। এই জন্যই বলতে চাই না, কারণ যখন একটা প্রজেক্ট হয় তা সরকারের এচিভমেন্ট। যেহেতু সরকার, আর আমরা সরকারী দলের মেয়র, সরকার দলের এমপি, এই কৃতিত্ব এমপিও নিতে পারেন, আপনারাও নিতে পারেন, আমার কাউন্সিলররাও নিতে পারে।
আমি কৃতিত্ব নিতে চাই না কারণ আমি আপনাদের পায়ে হাতে ধরে ভোট নিয়েছি আপনাদের সেবা করার জন্য। আপনাদের সেবা করাই আমার ধর্ম, আপনাদের কাজ করে যাওয়াই আমার ধর্ম। যদি ক্রেডিট দিতে হয়, কৃতিত্ব দিতে হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই দিতে হবে। কারণ, ওনি যদি আমাকে অর্থ না দিত তাহলে তা সম্ভব হতো না।
তিনি আরো বলেন, যত বড় প্রজেক্টই পাটাচ্ছি ওনি তা পাশ করিয়ে দিচ্ছে।
এই যে দিচ্ছে বলেই আমি কাজ করতে পারছি। যদি দোয়া করতে হয় তার জন্যই দোয়া করবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন দল মতের উর্ধ্বে উঠে মানুষের সেবা করতে পারি। মানব সেবার মাধ্যমেই আমি আল্লাহকে পেতে চাই। আপনাদের সেবার মাধ্যমেই আমি আমার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই। যেখানে গেলে আমি আমার আল্লাহকে পাই।
তিনি বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই যেন আমাকে ছুঁতে না পারে। নারায়ণগঞ্জের কোন রাজনীতিই যেন ধরতে না পারে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে মানুষের জন্য যেন কাজ করতে পারি। মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেন কথা বলতে পারি। কারণ অনেকেই কথা বলার সাহস পায়, সে সাহসটা যেন আল্লাহ আমাকে দেয়। যেহেতু আমি আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পাইনা।
যেখানেই খুন, সেখানে যেন প্রতিবাদ করতে না পারি। যেখানে অন্যায় সেখানেই যেন দাড়াতে পাড়ি। অন্তত নারায়ণগঞ্জের মানুষ যেন মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে বলতে পারে এই শহর খুনের শহর নয়, এই শহর ত্বকীর মত শিশু হত্যার শহর নয়। এই শহর আমাদের বাসস্থান। আমরা এই শহরকে সুন্দর করব, চারিদিকে বাগান করব, খাল খনন করব, পার্ক করব, শিশুদের নিয়ে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াব। আমি সেই নারায়ণগঞ্জ চাই।
যেই নারায়ণগঞ্জে মাথা উঁচু করে কথা বলব। রাজনৈতিক কারণে একজন আরেকজনকে মামলা দিয়ে, হত্যা করে কোনঠাসা করব না, যার যার দল সে করবে এবং প্রত্যেকেরই অধিকার আছে বাংলার মাটিতে টিকে থাকার ও রাজনীতি করার।