ভোলায় প্রবাসী পরিবারকে হত্যা করার হুমকি হারুন গংদের
ভোলার চরফ্যাসনে ওমরপুর ইউনিয়নের আলীগাঁও গ্রামে প্রবাসী একটি পরিবারের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ হারুন গংদের বিরুদ্ধে।
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ও ক্ষ্যান্ত হননি প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে প্রবাসী নুরে আলম জেলে হাজত থেকে মুক্তি পেয়ে ও তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে পরিবারটি। গত ২২ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পেয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ কর্মীদের কাছে এমন লিখিত অভিযোগ করেছেন সৌদি প্রবাসী নুরে আলম।
সৌদি প্রবাসী নুরে আলম অভিযোগ করেন, নুরে আলম -শেলিনা দম্পতির বাড়ি ওমরপুর ইউনিয়নের আলীগাঁও গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে। তিনি ২২ বছর সৌদি আরবে থাকেন। তিনি প্রবাসে থাকায় বাড়ির পাশের ১শ’ ৬০ শতাংশ( এক কানি) জমি কয়েক বছর ধরে একসনা লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছিলেন তার স্ত্রী শেলিনা বেগম। চলতি বছরে তার লিজ নেয়া জমি বাগিয়ে নেন প্রতিবেশী হারুন।
গত ১২ মার্চ প্রবাস থেকে ছুটিতে দেশে আসেন তিনি। গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় জনতা বাজারে তার (প্রবাসী নুরে আলমের) সাথে হারুনের দেখা হয়। সেখানে চাষের জমিটি বাগিয়ে নেয়ার কারণ জানতে চাইলে হারুনের সাথে তার তর্ক বাধে।
হারুন তার দলবল নিয়ে তার ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে শেলিনা বেগম স্বামী নুরে আলম কে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে আনার পথে আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল, হারুন, মাসুদ, তাদের আটক করে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সমঝোতা করে দেয়ার কথা বলে শালিসী অচল নামায় স্বাক্ষর নিয়ে তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে দেন।
ঘটনার রাতেই তার অবস্থার অবনতি হলে তার স্ত্রী আহত স্বামী নুরে আলমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে হারুনের নেতৃত্বে কথিত সালিশদাররা তাদের গতিরোধ করে এবং মারধর করেন এ সময় নুরে আলমের মোবাইল সেট,ঘড়ি, নগদ টাকা সৌদি রিয়েল যার বাংলাদেশী মুল্য ৬০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
৫ এপ্রিল ঘটনার রাতেই তার পরিবারকে ঘায়েল করতে হারুনের ভাই জাফর বেপারী বাদী হয়ে তাকে ও তার স্ত্রী শেলিনা বেগম এবং শাহাবুদ্দিন নামের একজন কে সহ তিন জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেন। পুলিশ এ মামলায় প্রবাসী দম্পতিকে আদালতে সোপর্দ করে। বিজ্ঞ আদালত বিশেষ বিবেচনায় পরে দিনই স্ত্রী সেলিনাকে জামিনে মুক্তি দেন।
প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে প্রবাসী নুরে আলম জেলে হাজত থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফিরে এলে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তা হীনাতায় রয়েছে পরিবারটি।
অভিযুক্ত হারুনের ভাই মামলার বাদী জাফর বেপারী হয়রানী ও পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই দিনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আদালত নিস্পত্তি করবেন।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, প্রবাসীর পরিবারটিকে হয়রানি বিষয়টি আমার জানা নাই। ওই দিনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা এখন জামিনে আছেন। মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে।
এদিকে হারুন গংদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে মোবাইল ফোনে কিন্তু মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।