আজ মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় এর জম্মদিন।
আজ ৫ই জুন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের জন্মদিন।
১৯৬৩ সালের এই দিনে (৫ জুন)
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার
১০নং পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবা এডভোকেট নুরুচ্ছাপা তালুকদার ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন রাংগুনিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, চট্রগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রাম জেলা সমূহের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
শিক্ষাজীবনে……
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহামুদ এমপি
চট্রগ্রাম সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, এবং
সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করেন।
পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নশাস্ত্রে অনার্স এবং ১৯৮৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৯২-৯৩ সালে বেলজিয়ামের বিখ্যাত ব্রীজি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিষয়ক ডিপ্লোমা এবং ১৯৯৫-৯৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ের উপর মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি।
২০০০-২০০১ সালে বেলজিয়ামের বিখ্যাত বিমবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি
পরিবেশ বিষয়ক পি,এইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ করেন।
* শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি তিঁনি সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৭৫ সালে জুনিয়র বিতর্ক টিমের দলনেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন।
জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৯৮৭ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের দলনেতা হিসাবে নেতৃত্ব দেন।
* ব্রাসেলস ব্রীজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে তিঁনি বিশ্বের ৬০টির বেশী দেশের এক হাজারেরও বেশী, বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে তিনিই প্রথম এই এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
* রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে
ড. হাছান মাহামুদ এমপি ১৯৭৮ সালে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন।
সে সময় তিঁনি চট্রগ্রাম শহরের জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৯-৮১ সালে হাজি মুহম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮৯-৯০ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ সালে চট্রগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
১৯৯২ সালে সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র উপস্হিতিতে বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৫ সালে বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
সেইসময়কার বাংলাদেশের আলোচিত আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তিনি
নিন্দা প্রস্তাব উর্থাপন করেন। তৎকালীন জোট সরকারের বিভিন্ন দমন পীড়ন ও মানবাধীকার লঙ্গনের ঘটনায় বহির্বিশ্বে তিনি কুটনৈতিক তৎপরতা চালান।
পরে পিএইচডি অর্জন শেষে দেশে ফিরলে ২০০১ সালের ২৮ই অক্টোবর আওয়ামীলীগের দূসময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র
বিশেষ সহকারী (পিএ) হিসেবে নিয়োগ পান।
তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরীয়ার সাথে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে মনিটরিং সেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। ১/১১ সময় তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের বিভিন্ন হুমকি ও রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।
প্রতিনিয়ত তাড়া করেছে গ্রেফতার ও গুমআতঙ্ক। তবুও এক মুহুর্তের জন্য তিনি ছেড়ে যাননি আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রধানকে।
জননেত্রী শেখ হাসিনা পক্ষে মিডিয়ায় সামনে সাবলীল উপস্হিতি ও সাহসী অবস্হানের জন্য দেশী-বিদেশী মিডিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি।
২১শে আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন বাঁচানোর তোয়াক্কা না করে প্রিয় নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য মানবঢাল তৈরী করে অনন্য নজির স্হাপন করেছিলেন।
শরীরে এখনও গ্রেনেডর ৪০টির’ও বেশি স্প্রিন্টার তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
২০০৮ সালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আদালতের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু হওয়া সাকা চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে
চট্রগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া-৭ আসনের এমপি নির্বাচিত হন এবং
আওয়ামীলীগের প্রথম মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পান।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিছুদিন পর বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
এক বছর পর প্রমোশন নিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের পূর্নমন্ত্রী দায়িত্ব নেন।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে গঠিত সর্বদলীয় মন্ত্রীপরিষদে তিঁনি মন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি হন।
মন্ত্রী হিসেবে মহাজোট সরকারে পাঁচ বছর পূর্ন করার পর পুনরায় রাংগুনিয়া-৭ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
* তিঁনি তখন নতুন করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
* তিঁনি তখনকার শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর দায়িত্ব পালন করেছেন।
* ২০১৬ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক “গ্রীনস্টার” পুরস্কার লাভ করেন।
যে পুরস্কারকে পরিবেশ বিষয়ক নোবেল পুরস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়।
তিঁনি দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে চারপাশে চলমান চক্রান্তের নীল-নকশা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব কণ্ঠ, প্রতিবাদের মানুষ ড. হাছান মাহমুদ।
প্রতিদিন বক্তৃতা, বিবৃতি ও গণমাধ্যমে কথা