কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী জালালপুর ইউনিয়নে নৌকার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ; ভিন্ন অভিযোগ আনারস প্রতিকের
কপিলমুনি প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী জালালপুর ইউনিয়নে নৌকার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ; ভিন্ন অভিযোগ আনারস প্রতিকের
কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তিসহ কর্মী ও সমর্থকরা।
শুক্রবার তালার জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া মোল্লাবাড়ী মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু।
শনিবার সরেজমিন গেলে স্থানীয় চা’দোকানী ও নৌকা সমর্থীত কর্মি শেখ মোশাররফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটুর উপস্থিতিতে তারই কর্মী সমর্থকরা নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর অফিসটি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়।
সে আরো জানায়, নির্বাচনী অফিস সংলগ্ন তার নিজস্ব চা দোকানটিও ভেঙে দিয়েছে আনারস প্রতিকের সমর্থকরা। নৌকা সমর্থিত অপর কর্মী ও স্থানীয় শেখ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী পারভিন সুলতানা জানান, শুক্রবার রাতে ২০/২৫ খানা মোটর সাইকেল যোগে চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু এখানে আসে এবং তার কর্মী সমর্থকদের ধর ধর বলে আস্ফালন করলে তারই উপস্থিতিতে তার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে।
তখন আমি ঝাটা হাতে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করি। এক প্রশ্নের জবাবে পারভীন আরো জানান, সে সময় তার স্বামী শহিদুল ও ছেলে নৌকার অফিসে বসা ছিলেন। তিনি স্বামী ও ছেলেকে ভাত খাওয়ানোর জন্য সেখানে উপস্থিত হলে প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে ঘটনা দেখেন এবং প্রতিবাদ করেন। অপর কর্মী মোস্তফা সরদার ও স্ত্রী ফরিদা বেগম একই অভিযোগ করেন। এ সময় ফরিদা জানান, তিনি ঠেকাতে গেলে লাঠি দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করে তারা। বিষয়টির প্রকৃত ঘটনা জানতে সরেজমিন উপস্থিত রুস্তম মীরের স্ত্রী জানান, জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটুর সুনাম নষ্ট করতে তারা পরিকল্পিত ভাবে এটি করেছে।
আনারস প্রতিকের কোন কর্মী সমর্থক এটি করেনি বলে প্রত্যাক্ষদর্শী হিসাবে তিনি এ কথা বলেন, তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন, ওই সময় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে কর্মী সমর্থকরাই তাদের অফিস ও দোকান নিজেরাই ভাংচুর করে। এ বিষয়ে আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, গত দুদিন আগে আমার একাধিক কর্মীকে হাতুড়িপেটা করে মারাত্নক জখম করে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনাটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন অফিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উদ্ভুত ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠোর হলে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ ঘটনাটি তারই বহিঃপ্রকাশ।
নৌকা প্রতিকের কর্মীরা নিজেরা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা আছে বলে জানান তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকার কর্মী সমর্থকরা পথদিয়ে যাওয়ার সময় আমার এক নিরীহ কর্মীকে পেয়ে গতিরোধ করে মারপিট সহ তার মোটরসাইকল ভাংচুর করে আটকে রাখে।