‘বীর উত্তম’ হচ্ছে বীরত্বের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব ইচ্ছে করলেই কেড়ে নেয়া যায় না’ মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান
আব্দুস ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
‘বীর উত্তম’ হচ্ছে বীরত্বের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব
ইচ্ছে করলেই কেড়ে নেয়া যায় না’ মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)’র বৈঠকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। এ খেতাব কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রশক্তি কেড়ে নেয়ার এখতিয়ার রাখে না। বীর উত্তম খেতাব একজন বীরের বীরত্বের খেতাব। এটি কেনা-বেচার কোন বস্তু বা ছেলের হাতের মোয়া নয় যে, ইচ্ছে করলেই কেড়ে নেয়া যায়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের অবিনাশী কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।
মিজান চৌধুরী বলেন, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল (জামুকা) মহান স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেডফোর্সের অধিনায়ক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রশক্তির জোরে খেতাব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলেও জনমনে যে ইতিহাস রচিত হয়ে আছে, সেই ইতিহাস অমর, অব্যয়, অক্ষয়, তা রাষ্ট্রযন্ত্রের হুমকিতে কখনও মুছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমানের কীর্তি দেশবাসীর অন্তরে আজও অম্লান। তিনি বলেন, সরকার তার অপকর্ম ঢাকার জন্য জামুকা কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেশবাসী মেনে নেবে না।
খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তি রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। তিনি সোমবার বিকেলে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ছাতকের ভাতগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ভাতগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ছমরু মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, ছাতক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, ছাতক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সহ প্রকাশনা সম্পাদক গোলাম হোসেন শাকিল, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ছায়াদুজ্জামান ছায়াদ, ভাতগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডাঃ শাহ সৈয়দুর রহমান, সিংচাপইড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক, ছাতক উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সদরুল আমিন সোহান, জেলা যুবদলের সহ কোষাধ্যক্ষ, ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মনসুর আলী। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আনোয়ার খান, হুশিয়ার আলী, ফজলু খাঁ, গোলাম রাব্বানি, মধু মিয়া চৌধুরী, হিরন মিয়া, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, আছাব আলী, ছায়াদূর রহমান, হবিবুর রহমান, ফটিক মিয়া, শামসুজ্জামান রাজা, মতিউর রহমান, আলিম উদ্দিন, যুবরাজ মিয়া, ইসলাম ফিরোজ, হেলাল মিয়া, সিরাজ মিয়া, নূর মিয়া, নজরুল ইসলাম, ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু শামীম, কামাল হোসেন তালুকদার, ছাতক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হাবিবুর রহমান সুজন, ভাতগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কয়েছ আহমদ, লিকসন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, কামাল উদ্দিন মেম্বার, ছাতক উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালেব, আবিদুর রহমান, আলা উদ্দিন, ছাতক পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোজাহিদ হোসাইন, যুবদল নেতা আলী আহমদ চৌধুরী, সফিকুর রহমান, সুরমান আলী, আব্দুল কাইয়ুম, ছাত্রদল নেতা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।