জেলার খবর

আব্দুস সামাদ আজাদ’র ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ।

আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)

আব্দুস সামাদ আজাদ’র ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ।

ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ এর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে সকাল ৯টায় কোরআন খতম, ১১টায় ঢাকায় বনানীতে মরহুমের কবর জেয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বাদ আসর ঢাকার লেকসার্কাস লেকভিউ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সুনামগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে পদাপর্ণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও আসাম অঞ্চলের বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রনায়ক ছিলেন সামাদ আজাদ। এ কারণে ইংরেজ শাসক কর্তৃক কয়েকবার গ্রেফতারও হন তিনি। হাওর বেষ্টিত গ্রামে বেড়ে উঠা আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার কারণে করতে হয়েছে কারাবরণ। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে সামনের কাতারে চলে আসেন আব্দুস সামাদ আজাদ। ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই নেতা। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠায় রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সামাদ আজাদ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সুনামগঞ্জ ২ ও ৩ আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে বিরোধী দলীয় উপ নেতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আব্দুস সামাদ আজাদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বহির্বিশ্বের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন। ২০০১ সালে তাঁর জীবনের শেষ নির্বাচনে দল হারলেও সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button