জেলার খবর

পাইকগাছায় ৩ সন্তানের জননীকে বিয়ে করে প্রতারিত শাহিন; স্বর্বস্ব খুইয়ে সর্বশান্ত।

এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

পাইকগাছায় ৩ সন্তানের জননীকে বিয়ে করে প্রতারিত শাহিন; স্বর্বস্ব খুইয়ে সর্বশান্ত।

পাইকগাছায় ৩ সন্তানের জননীকে বিয়ে করে স্বর্বস্ব খুইয়ে প্রতারিত হয়েছে শাহিন (২৬) নামের এক যুবক। ঘটনাটি উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামের। গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় স্বর্ণালংকার সহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে রেশমা (২৮) নামে ঐ গৃহবধূ।

ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের সিরাজুল রহমানের পুত্র শাহিনের স্থানীয় কপিলমুনি বাজারে নিজস্ব কাপড়ের দোকানে রমরমা ব্যবসা ভালই চলছিল। সে সময় শাহিনের দোকানের নিয়মিত ক্রেতা বনে যায় রেশমা। এক পর্যায় শাহিনকে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলে ৩ সন্তানের জননী রেশমা বেগম। ঘটনাক্রমে পিতামাতার অজান্তেই বছর খানেক আগে রেশমার সাথে নোটারী পাবলিক এভিডেভিড এর মাধ্যমে বিয়ে হয় শাহিনের।

সেখানেও প্রতারণা করে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন বাবদ লিপিবদ্ধ করে রেশমা ও তার লোকজন। বিয়ের পর শাহিনকে প্রথমে শশুর দুর্লভ গাজীর বাড়িতে দীর্ঘদিন থাকতে হয়। তখন রেশমার একের পর এক চাহিদা মিটাতে সবশেষ শাহিনের রমরমা ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে উঠে। ব্যাবসার সব টাকা দেখতে দেখতে শুন্যের কোঠায় নেমে আসে, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে সে। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখা দেয় মনোমালিন্য।

একদিকে অর্থনৈতিক সংকট অপরদিকে শাহিনকে বিভিন্ন সময় গালিগালাজ শুনতে হয় স্ত্রী রেশমা ও শশুরবাড়ীর লোকজনের কাছে। এতেকরে শাহিনের জীবনে নেমে আসে করুন পরিনতি। তার করুন পরিনতি দেখে এক পর্যায় এলাকার লোকজন শাহিনের পিতামাতাকে বুঝিয়ে ঠাই করে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি শাহিনের।
স্বামীর দাবি নিয়ে হাজির হয় রেশমা। এরপর ছেলে শাহিনকে আলাদা করে দেয় পিতা সিরাজুল।

সংসার চালাতে চালডাল দিয়ে দেয় পরিবার। কিছু দিন যেতে না যেতেই গত শুক্রবার সন্ধা পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় দফায় স্ত্রী রেশমা ঘরের দরজা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার সহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে জানায় শাহিন ও তার পরিবার।

এ ঘটনায় মুষড়ে পড়েছে ভুক্তভোগী ওই পরিবার।

জানাগেছে, একাধিক বিবাহের হোতা রেশমা ইতোপুর্বে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর তাকে জেলে যেতে হয়। এক প্রকার মক্ষীরানী হিসাবে এলাকায় পরিচিত রেশমার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী শাহিন ও তার পরিবার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button