প্রতিমন্ত্রী স্বপণ ভট্টাচার্যের মনিরামপুর বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।
আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রতিনিধি-(যশোর)
প্রতিমন্ত্রী স্বপণ ভট্টাচার্যের মনিরামপুর বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।
মণিরামপুর বাসিকে নিয়ে আমার গর্ভের শেষে নেই। মণিরামপুর বাসি আমাকে আবারও চির ঋণি করে রাখলো। যা নিজের জীবন দিয়ে হলেও এ ঋণ শোধ করা যাবে না। করোনা আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যু হলে যেখানে সন্তানেরা মৃত বাবার দাফন বা সৎকার করতে ভয় পাচ্ছে, করোনার ভয়ে মৃত বাবার লাশটা পর্যন্ত ছুয়ে দেখছে না-সেখানে আমি করোনা আক্রান্তকালে মণিরামপুরের জনগণ আমাকে এতটুকু ভীত হতে দেননি।
তারা আমাকে চারিদিক থেকে আগলে রেখেছে। নিষেধ সত্বেও আমার চারিপাশে সব সময় ভীড় করে থাকতো। এতটুকু করোনার ভয় তাদের ছিলনা। করোনাকে অন্যান্য সাধারণ রোগের মত মনে করে সব সময় আমার চারিদিকে ভীড় করে থাকতো।
স্বপরিবারে করোনা আক্রান্ত কালিন-মণিরামপুর উপজেলার আপমর জনতা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তারসহ পরিবারের সদস্যদের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া, প্রার্থনা এবং আর্শিবাদ করায়-মণিরামপুর বাসির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ বক্তব্য দান কালে এ কথা বলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।
প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত মঙ্গলবার বিকেলে মণিরামপুর পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব কাজী মাহমুদুল হাসনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনের পরিচালনায় দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠানপূর্ব আলোচনা সভায় সহস্রাধিক
ধিক দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি আরও বলেন, দোষে-গুনে মানুষ, অতীতে আমার অনেক ভূলত্রটি ছিল সেটা আমিও জানি।
এ ভূলত্রটি গুলো শুধরিয়ে আমি আজীবন মণিরামপুর তথা মণিরামপুরের সর্বস্তরের জনগণের জন্য কাজ করে যাবার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার কোন দল, কোন জাতি, কোন ধর্ম নেই। আমি মনে করি এটা আমার দ্বিতীয় জীবন। সুতরাং মণিরামপুরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার এ দ্বিতীয় জীবনকে আমি মণিরামপুর বাসির জন্য উৎসর্গ করে দিলাম।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য আবুল কালাম আজাদ ইউপি চেয়ারম্যন ও আওয়ামীলীগনেতা আব্দুর রাজ্জাক, মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরুণ আওয়ামীগ নেতা অ্যাড. বশির আহমেদ খান, মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক মোতাহার হোসেন দুষ্টু, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগনেতা গাজী মোহাম্মদ, শামছুল হক মন্টু, মণিরামপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ বিএম রবিউল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম আলাউদ্দীন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদসহ প্রমুখ।
শেষে প্রতিমন্ত্রীসহ তার পরিবার এবং আপমর মণিরামপুর বাসির জন্য দোয়া, আর্শিবাদ ও প্রার্থনা করা হয়।