গাজীপুর মহানগরের ভূমিদস্যু আঃ মান্নানের জামিন না মঞ্জুর।
মোঃ আজাহার সরকার গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর মহানগরের ভূমিদস্যু আঃ মান্নানের জামিন না মঞ্জুর।
গাজীপুর মহানগর পশ্চিম জয়দেবপুর (গণি মুন্সীর টেক) সদর থানা এলাকার মৃত গনি মুন্সী পুত্র আঃ মান্নান ওরফে মোহন (৭১) ও মোঃ মাহমুদ হাসান ওরফে রাজু (৪২) মোহনের পুত্রের বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ করেছেন রথখোলা (হাসপাতালে রোড়) সদর থানার লাভলী বেগম (৪৫)।
অভিযোগে লাভলী বেগম বলেন, মোঃ আলী হোসেন চৌধুরী ১৪/০৯/১৯৯১ ইং তারিখের ১৮২২ নং এওয়াজ পরিবর্তন দলিল মূলে ২২.৭৫ শতাংশ জমি আমার বড় বোন জামাই মোঃ সেলিম খানের বরাবর হস্তান্তর করেন। সেলিম খান নামজারী ও জমাভাগ নথি নং ৩৯৫০/৯০-৯১, তারিখ ২১/০৩/১৯৯১ ইং জোত নং ১৮৯২ মূলে নিজ নামে নামজারী করেন।
সেলিম খান বাড়িঘর নির্মাণ করে ভাড়া প্রদান করে ভোগ দখল করত থাকাবস্হায় মৃত্যু বরণ করিলে উত্তরাধিকারী হিসেবে এক স্ত্রী বিলকিস বেগম,এক পুত্র হাফেজ মোঃ মাহমুদ খান,দুই কন্যা মাহবুবা খান শম্পা ও সাদিয়া তাবাসসুম সৃষ্টিকে রাখিয়া গেলে তাহারা মালিক ও দখলকার নিয়ত থাকাবস্হায় নামজারী ও জমাভাগ নথি নং ৩৯৭৫/১৮-১৯ তারিখ ০৭/০৭/২০১৮ ইং জোত নং ১১৬০৭ মূলে নিজ নামে নামজারী করিয়া ভূমি উন্নয়ন কর সহ অন্যান্য করাদি পরিশোধ করিয়া নালিশী ১৭.৭৫ শতাংশ জমি ১৮/১২/২০১৯ ইং তারিখের ১১৬৭৩ নং অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব এটর্নি দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি আমার নামে যাবতীয় কার্যাদি আমার সম্পাদন করে।
লাভলী বেগম আরও বলেন, তার বোন জামাই সেলিম খানের নামে ২৩ শতাংশ (২২.৭৫) জমি (সি.এস ও এস.এ দাগ নং ১৯৮৭,আরএস দাগ নং ৪১৬৬,দাগে মোট জমি ২৩৬ শতাংশ নালিশী জমি ১৭.৭৫ শতাংশ) রয়েছে।
১৯৯১ সালে কৃষি গবেষণার (সাবেক) স্টোর কিপার সেলিম খান ২৩ শতাংশ (২২.৭৫) দখলকৃত জমির উপর টিনশেট বাড়ী করে,অসহায় মান্নান মিয়া ওরফে মোহনের কাছে ৩০০ টাকায় লাকড়ির দোকান ভাড়া দেয় এবং ১২/১৩ বছর ভাড়া দিয়ে আসছিলেন,কিন্তু ২০০১ইং সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ভূমিদস্যু হয়ে উঠে মান্নান ও তাঁর ঔরসজাত ছেলে ১৭ মামলার আসামি ৪ টি মার্ডার একটি অপহরণ মামলার দাগী আসামি ছাত্রদল নামধারী মাহমুদ হাসান রাজু। কেয়ারটেকার মান্নান পুত্র বেআইনীভাবে পৌনে নয় শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর জাল দলিল তৈরি করে আবদুল করিমের নামে সাড়ে চার শতাংশ ও মোঃ মতিউরের নামে পৌনে পাঁচ শতাংশ জমি দাতা দেখায় মান্নান মিয়া ওরফে মোহন গং।
লাভলী বেগম আরও বলেন, বিভিন্ন ভাবে আমাকে হত্যা,জমি দখল সহ ঘুমের হুমকি প্রদান করিলে সদর থানার মামলা নং – ৬৮, তারিখ ২৭/০২/২০২০ইং ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৭১/৫০৬ পেনাল কোড, মামলাটি তদন্ত শেষে সদর থানার অভিযোগ পত্র নং ৪০৮, তারিখ ৩১/০৮/২০২০ইং ধারা ১৪৩/৪৪৮/৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৭১/৫০৬ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
সেটেলমেন্ট ও ভূমি অফিস সকল কাগজপত্র দেখে আইনী ভাবে বৈধ মালিক লাভলী বেগমের পক্ষে রায় দেন। এরপর উক্ত ব্যক্তিরা পুনরায় জাল দলিল দেখিয়ে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে এবং মান্নান ওরফে মোহন পুলিশ দিয়ে এবং মামলার মাধ্যমে হয়রানী করার হুমকি প্রদান করে।
আজ মঙ্গলবার জালিয়াতি মামলায় আঃ মান্নানকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন মহামান্য আদালত।
এ ঘটনায় লাভলী বেগম অনলাইনে খতিয়ানের জন্য আবেদন করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের অফিস সহকারী মান্নান ওরফে মোহনের পরিবর্তে সেলিম খান জমির মালিক দেখিয়ে একটি খতিয়ান প্রদান করে। অনলাইনে খতিয়ানে দেখা যায় জমির মালিকানায় নামটি সেলিম খানের রয়েছে। সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু দাঙ্গাবাজ মাহমুদ হাসান ওরফে রাজু ভয়ে লাভলী বেগমের পরিবার অসহায় দিনযাপন করছেন এই ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সহোযোগিতা কামনা করেছেন।পুলিশি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখাচ্ছে বলেও জানান।