নোয়াখালীতে কিশোরী ধর্ষণ,গর্ভপাত,নারী চিকিৎসক ও ইউপি সদস্য সহ গ্রেপ্তার ৪
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি-ঃ
নোয়াখালীতে কিশোরী ধর্ষণ,গর্ভপাত,নারী চিকিৎসক ও ইউপি সদস্য সহ গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ ও অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত করে ২৯ সপ্তাহের শিশু হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় এক নারী চিকিৎসক ও একজন ইউপি সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীরর মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, ইউপি সদস্য মুকবুল আহম্মদ, কমল সিংহ ও ফারুক হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের এক দিনমজুরের কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই ইউনিয়নের কায়সার হামিদ (২২)। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি কায়সারকে জানানোর পর গত ৪ জুলাই কৌশলে ওই কিশোরীকে চৌমুহনীর ইজিল্যাব নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে। পরীক্ষায় ওই কিশোরীর ২৯ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে রিপোর্ট আসে। পরে কায়সার তার সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে চৌমুহনীর কলেজ রোডের নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভের শিশুটিকে মেরে ফেলে এবং গর্ভপাত করে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে গ্রাম্যশালিসের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেন ফারুকসহ কয়েকজন। কিন্তু মীমাংসা না করে বিষয়টি নিয়ে ফারুকসহ বাকিরা তালবাহানা শুরু করে। তাই নিরুপায় হয়ে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ জানান, ধর্ষণ ও গর্ভপাতে শিশু হত্যার ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলার পরপর অভিযান চালিয়ে এক নারী ও এক ইউপি সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।