বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার প্রতিকার ছেয়ে ইউএনও বরাবরে “অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ”র স্মারকলিপি পেশ
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার প্রতিকার ছেয়ে ইউএনও বরাবরে “অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ”র স্মারকলিপি পেশ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ দির্ঘদিন থেকে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার শিকার হয়ে নাজুক জিবন-যাপন করছে। অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজিবন। এ নিয়ে সারাক্ষন সোস্যাল মিডিয়া সরগরম থাকলেও বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তা ব্যক্তিদের কোন টনক নড়েনা। বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তাদের লাগামহীন অব্যবস্থাপনায় দিন দিন জনমনে পুঞ্জিভূত হচ্ছে ক্ষোভ।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন নৈরাজ্যের দ্রূত প্রতিকার চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে “অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ” নামে সম্প্রতি সময়ে এলাকার পজেটিভ যুবসমাজের প্রিয় ঠিকানা খ্যাত একটি সামাজিক সংগঠন।
১৯জুলাই’২১ ইং সোমবার বিকাল ৪ টার সময় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়ে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে জনজিবনে চরম ভোগান্তির বিস্তারিত আলোচনার পর অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক আদনান এলাহী তুহিন ও তৌফিক চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি সম্প্রতি সময়ে তরুন ও যুব সমাজে সাড়া জাগানো আইডল আদনান এলাহী তুহিন, সাধারন সম্পাদক তৌফিক চৌধুরী, কলিম উল্লাহ মিজবাহ,স্বজল দাশ, মোহাম্মদ মন্জুর, শোয়াইব চৌধুরী, মোহা: রাসেল, সাকিব আহামদ প্রমূখ:।
অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের সভাপতি আদনান এলাহী তুহিন বলেন, দির্ঘদিন থেকে বাঁশখালী পল্লী বিদূৎ সমিতি তাদের স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রমের মাধ্যমে অভিভাবকহীন সংস্থায় পরিণিত হয়েছে। কারো কোন অভিযোগকে কখনো আমলে না এনে যখন-তখন কোন কারন ছাড়া ইচ্ছেমত লোডশেডিং করার মাধ্যমে জনজিবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাদের এহেন স্বেচ্ছাচারিতায় বাঁশখালীতে সরকারের সব অর্জন ম্লান হয়ে গেলেও সেদিকে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।
কোভিড-১৯ মহামারীর এ সংকটকালে ছাত্র-ছাত্রিদের অনলাইনে লেখাপড়া হলেও একটি ক্লাশও তারা ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজির কারনে করতে পারেনা। সন্ধ্যাবেলায় ঠিকভাবে গৃহিনীরা খাওয়ার পানিও নিতে পারেনা। মূমূর্ষ রোগির প্রয়োজনে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন করেও তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের নাম্বারে সংযোগ পাওয়া যায়না।বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের চরম এ অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতা অবিলম্বে বন্ধ করে বাঁশখালীর জনগনের মনের কষ্ট বুঝার জন্য অনুরোধ জানান আদনান তুহিন।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী মনযোগ সহকারে নেতৃবৃন্দের কথা শুনার পর বলেন, বিদ্যুতের অনিয়মের কারনে জনগনের ভোগান্তির কথা তিনি বুঝেন, সকল অভিযোগের যৌক্তিক কারনগুলোর সমস্যা সমাধানকল্পে দ্রুত সময়ে আন্তরিকতার সাথে সচেস্ট থাকবেন।