কপিলমুনি ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ইউএনও’র দপ্তরে অভিযোগ
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনি ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ইউএনও’র দপ্তরে অভিযোগ
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপি সচিব মোঃ আঃ গণি গাজীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ইউএনও’র দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল মৃত্যু নিবন্ধন রেজিষ্ট্রারে নাম সংশোধনের জন্য ৭শ টাকা অর্থ গ্রহণের এই অভিযোগটি করেন ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান।
তবে ঠিক কোথায়, কখন এবং কত টাকা গ্রহণ করেছেন তা সঠিক করে বলতে পারেননি জিয়াউর রহমান। ফলে বিষয়টি নিয়ে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে এক প্রকার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জিয়াউর উল্লেখ করেন, তার পিতা শেখ নুর ইসলাম ২৩ ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন।
এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মৃত্যু রেজিষ্ট্রারে তার পিতার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। যা পরবর্তীতে পিতার মৃত্যু সনদ গ্রহণের সময় নামের স্থলে তথ্যগত অসঙ্গতি দেখতে পান জিয়াউর। তখন পরিষদের মৃত্যু রেজিষ্ট্রারে তার পিতার নাম সঠিক করে পূর্ণাঙ্গ ভাবে লেখার জন্য ইউপি সচিব আঃ গণিকে জানান তিনি। এমতাবস্থায় ইউপি সচিব মো. আঃ গণি গাজী ইউএনও অফিসের দোহায় দিয়ে তার কাছ থেকে ৭শত টাকা গ্রহণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
গত ২০ এপ্রিল উল্লেখ করে আরোও বলেন, এদিন বেলা ২.৩০ মিনিটের দিকে পরিষদ প্রাঙ্গণে গেলে তাঁকে ইউপি সচিব অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। অভিযোগকারী জিয়াউর রহমান সনদ দেখিয়ে বলেন, তার পিতার মৃত্যু সনদে সম্পূর্ন নাম আসেনি। তবে কত টাকা, কখন, কত তারিখ ঘটনা বা কেউ জানে কিনা এমন সব প্রশ্নে জিয়াউর বলেন সবকিছু দরখাস্তে লেখা আছে।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব আঃ গণি গাজী বলেন, আমাকে নিয়ে কতিপয় ব্যাক্তির কুপরামর্শে ও ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে ছেলেটা। তার সাথে আমার কোনো আর্থিক লেনদেন ও দুর্ব্যবহারের কোন ঘটনা ঘটেনি। ইউপি চেয়ারম্যান মো. কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, পরিষদের রেজিষ্ট্রারে মৃত্যু ব্যক্তির নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়ে সে আমাকে জানাতে পারতো।
কিন্তুু তা না করে সে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করে। সিনিয়র এ ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ও ইন্ধনদাতাকে খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউনিয়নের সাধারন মানুষ।