মনিরামপুর ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় বৃষ্টিতে বিল সংলগ্ন এলাকা গুলি তলিয়ে গেছে প্রতিটি বাড়ির উঠানে হাঁটু পর্যন্ত পানি কারো ঘরের মধ্যে হাঁটু পানি ফলে চলাচলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্দি এলাকার মানুষের।
ভবদহ সুইচগেট দিয়ে এই সমস্ত এলাকার বিলের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু পলি পড়ে এলাকার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী নাব্যতা হারিয়েছে। এতে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না। এ অবস্থায় বৃষ্টির পানিতে এলাকার বিলগুলো তলিয়ে গেছে। বিল উপচে পানি ঢুকেছে বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোতে। বাড়ির উঠানে হাঁটু পর্যন্ত পানি থাকায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে দেখা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মনিরামপুর উপজেলার হাজিরহাট পাচকাটিয়া ও পাচাকড়ি গ্রামে প্রতিটি বাড়ির উঠানে পানি ছোট ছোট বাচ্চাদের বুক পর্যন্ত পানি চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে স্কুলে যেতে পারছেনা ফলে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচকাটিয়া গ্রামের অরুন রায় বলেন আমাদের গ্রামের চারিদিকে বিল সবসময় পানি বেঁধে থাকে বিলে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় খাল বিল ঘের বেড়ি ভেসে আশে পাশের এলাকা গুলি তলিয়ে গেছে তবে ভবদাহ গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন সেচ প্রকল্প চালু রয়েছে কিছু দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশন হয়ে যাবে। পাঁচকাটিয়া গ্রামের প্রকাশ রায় বলেন সেচ প্রকল্প চালু থাকলেও পানি জায়গায় চলে আসছে এর সমাধান প্রয়োজন।সাথে সাথে সেচ প্রকল্পের দিকে কঠোর নজরদারি দেয়া হোক অনেক সময় এটা বন্ধ থাকে উপর থেকে কর্মকর্তা আসার তথ্য পেয়ে সেচ প্রকল্প চালু করা হয় এবং চলে যাওয়ার সাথে বন্ধ করে দেয়া হয় এই কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন কূলটিয়া ও হরিদাস কাটি ইউনিয়ন যশোরের অভয়নগরের প্রায় দশ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হরিদাস কাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপদ ভাঞ্জন পাড়ে বলেন আমার ইউনিয়নের আট টি গ্রামে পানি ঢুকেছে এরমধ্যে কয়েকটি গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ এই সমস্ত পানিবন্দি এলাকার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।