চসিক নির্বাচন: রেজাউল ও নূরুল হুদাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটে চরম অনিয়ম ও জালিয়াতি-কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা আরও আগেই দিয়েছিলেন চসিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন তিনি।
চসিক নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ডা. শাহাদাত। বিবাদীদের বিরুদ্ধে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের) খায়রুল আমিনের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া আরও ৫ মেয়রপ্রার্থীকেও বিবাদী করা হয়েছে। মামলার আরজিতে নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনেরও দাবি জানানো হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে নতুন নগরপিতা হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
ভোটের ফলাফল গণনা শেষে ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টায় বেসরকারিভাবে জানানো হয়, রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। নির্বাচনী সহিংসতার কারণে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রের ফল স্থগিত করা হয়।
ভোটের ৪ দিন পরই গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে মহানগরের নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৪ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগে ভোটে নানা অনিয়ম তুলে ধরেন ধানের শীষ প্রার্থী ডা. শাহাদাত।
ওইদিন তিনি বলেন, ‘২৭ ডিসেম্বর চসিক নির্বাচনে যে ২২ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে তা সঠিক নয়। বাস্তবে সাড়ে ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে নির্বাচনে, যার ৪ থেকে ৫ শতাংশ ছিল বিএনপি প্রার্থীর ভোট।’
সংবাদ সম্মেলনে ভোট ডাকাতি, প্রার্থীকে সঠিক তথ্য না দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিএনপির এ মেয়র প্রার্থী।