নোয়াখালীর সেনবাগে দাফনের প্রায় ৪ বছর পর পিবিআইর লাশ উত্তোলন।
মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগে দাফনের প্রায় ৪ বছর পর পিবিআইর লাশ উত্তোলন।
দাফনের ৩ বছর ৮ মাস ১৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুনঃময়না তদন্তের জন্য মোঃ হাসান প্রকাশ কালাইয়া (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের ডমুরুয়া হাজারী বাড়িতে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর এক্সিকিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা(পিবিআই)
মোস্তাফিজুর রহমান,এস আই মোবারক,এসআই ফরিদ ও সেনবাগ থানার এ এস আই সুফিয়ানের উপস্থিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এ সময় মামলার বাদি শহিদ উল্লাহ,স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার বেলায়েত হোসেন হাজারী,সমাজবেক এমএ মাজেদ মাসুদ মিয়া সহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে,বিগত ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে ডমুরুয়া হাজারী বাড়ির শহিদ উল্লাহ’র বড় ছেলে মোঃ হাসান প্রকাশ কালাইয়া তাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ডিপ টিউবওয়েল (মটর ঘরে)ঘুমিয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে একই এলাকার গোলাম রসুল,রাজন প্রকাশ রাজু,মহসিন ওই মটর ঘরে গিয়ে কালাইয়াকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নেশা জাতীয় মদ ক্ষেতে বলে।কালাইয়া মদ না খেয়ে তাদেরকে ঘর থেকে বের হয়ে চলে যেতে বললে সাথে সাথে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কালাইয়ার মাথায় আঘাত করলে সে মারা যায়।
পরবর্তীতে তারা লাশ ওই ঘরে রেখে পালিয়ে যায়।পরদিন সকালে তার মৃত্যুর সংবাদটি জানাজানি হলে সেনবাগ থানা পুলিশ লাশ উাদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।এ ঘটনায় নিহত কালাইয়ার পিতা শহিদ ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।
মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত করে মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে।কিন্তু মামলার বাদী সিআইডির দাখিল করা রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সে আদালতে নারাজি দাখিল করেন।এরপর আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)ওপর ন্যাস্ত করে।
তদন্তের প্রয়োজনে তারা বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ফরেনসিক টেষ্ট্রের জন্য লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে।