ধামরাইয়ে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো করোনা কালের দুর্গোৎসব।
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ
ধামরাইয়ে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো করোনা কালের দুর্গোৎসব।
দেবীপক্ষের দিন গুলির মধ্যে বিসর্জন এর দিনটি খুবই বেদনাদায়ক, মা’কে যে সোমবার(২৬শে অক্টোবর) বিদায় জানাতে হলো। মা দেবীপক্ষের দিন গুলির মধ্যে আজকের দিনটি খুবই বেদনাদায়ক, মা’কে যে আজ বিদায় জানাতে হলো।
মা যে ফিরে যাবে সুদুর কৈলাশ ধামে! আবার একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে মায়ের আগমনের।
সনাতনধর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তদের মনে মূল মর্মবাণী।
ঢাকার ধামরাইয়ের পৌর এলাকায় বংশী নদীর মাধববাড়ি ঘাটে প্রতিবারের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে বির্সজনের প্রাথমিক ভাবে নৌকায় প্রতিমা রাখার নির্ধারিত স্হান।
প্রতিমা রাখার নির্ধারিত স্হান মাধব বাড়ির ঘাটে প্রতিমা দর্শনের জন্য হাজার হাজার মায়ের ভক্তদের উপচে পড়া মানুষের ঢল নেমেছে। এছাড়া ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিভিন্ন স্হানে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মন্ডপের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
ধামরাইয়ে ১৬২ টি মন্দিরের প্রতিমা বির্সজন সম্পন্ন হয়েছে সোমবার (২৬শে অক্টোবর) রাতে এর মধ্যে একটি অষ্ট ধাতুর নির্মিত প্রতিমা বির্সজন হয়নি বলে জানান পুজারী শিল্পী সুকান্ত বনিক।
উল্লেখ্য ২৫ লাখ ব্যয়ে অষ্ট ধাতুর এই মূর্তিটি সে নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠানে তৈরী করেন।প্রতিমা বিসর্জন না দিলেও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকা আচার অনুষ্ঠান মেনে ঘট ও অন্যান্য উপকরণ বিসর্জন দেয়া হয়েছে বলে জানান ধামরাইয়ের শিল্পী সুকান্ত বণিক।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব এর কারণে প্রশাসনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্হ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে স্বল্প পরিসরে শারদীয়া দূর্গা পূজা ধর্মীয় আচার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার (২৬শে অক্টোবর) ধামরাইয়ে মন্দির গুলোতে এখন নিরবতা বিরাজ করছে।
সোমবার রাত ১০ টায় সর্বশেষ প্রতিমা বির্সজন দেওয়া হয় এ নদীর ধামরাই মাধব বাড়ির ঘাট এলাকায়। প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব।
দেবীকে বিদায়ের আগে নারীরা সিদুর খেলায় মেতে উঠে। এরপর প্রতিটি মন্দির ও পূজা মন্ডপের প্রতিমা নিয়ে যায় বির্সজন স্থলে।
ধামরাইয়ের উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ১৬৩ টি মন্দিরে এবার শারদীয়া দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে অনূষ্ঠিত হয়েছে।
এর মধ্যে একটি অষ্ট ধাতুর নির্মিত প্রতিমা বির্সজন হয়নি বলে জানান পুজারী শিল্পী সুকান্ত বনিক।২৫ লাখ ব্যয়ে অষ্ট ধাতুর এই মূর্তিটি সে নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠানে তৈরী করেন।
সোমবার বিকেল ৫টার পরে একে একে সব প্রতিমা গুলি বিভিন্ন মন্ডপ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় মাধব বাড়ি ঘাটে।এর পর নির্ধারিত নৌকায় তুলে নিয়ে বংশীনদীর বিভিন্ন এলাকায় বির্সজন দেওয়া হয়।
একে একে সব প্রতিমা গুলি বিভিন্ন মন্ডপ থেকে বের করে পুজারী ও নারীরা পুজাও ধুপ আরতি শেষে সিধুর খেলায় মেতে উঠেন।
এবারো ধামরাইয়ে ঢাক ঢোল কাসর ঘন্টার তালে তালে নিত্য করে শোভাযাত্রর মাধ্যমে বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা গুলো নিয়ে যাওয়া হয় ভ্যানে,গাড়িতে, কাধে করে মাধব বাড়ি ঘাটে।এখানে বিকেল থেকে বির্সজন মেলা বসে ৩ শত বছর পুর্ব থেকে।এবার করোনার কারনে মেলা নিষিদ্ধ করা হলেও উপচে পড়া ভীড়ে মেলাঙ্গন পরিপুর্ন হয়ে যায় বির্সজন স্থল মাধব বাড়ির ঘাট।আগত বেশীর ভাগ মানুষের মুখে মাক্স দেখা যায়নি।
প্রতিমা বির্সজন উপলক্ষে মাধব বাড়ি ঘাট এলাকায় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোহাদ্দেছ হোসেন,ধামরাই পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবীর মোল্লা।
উক্ত পরিদর্শনে আসেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ও অন্যান্য জনপ্রতিনিবৃন্দ।
প্রতিটি প্রতিমা ঘাটে স্থাপনের পর বিকেল থেকে বির্সজন স্থলে ভীড় বাড়তে থাকে।
পুর্জাচনা ও আরতি শেষে সন্ধ্যার পর থেকে একে একে প্রতিমা বির্সজন দেওয়া হয় বংশী নদীতে।আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারীতে হাজার হাজার নারী পুরুষের ভীড়ে মূখরিত হয়ে উঠে মেলাঙ্গন।এখানে দিন ব্যাপী বির্সজন মেলা বসে চার শত বছর পুর্ব থেকে।
এবারো মেলায় শিশু-কিশোর সহ সব বয়সের হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। বসেছিল কিছু দোকান প্রসার।এসময় একত্রে ঢাকের বাজনার শব্দে গোটা মেলাঙ্গন মূখরিত হয়েছিল।
পুজারীরা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় আরতি পুজা শেষে পুর্ব থেকে ঠিক করে রাখা নৌকায় প্রতিমা গুলো তুলে নিয়ে রাত ১০টার মধ্যে বংশী নদীর পৌর এলাকায় এক কিঃ মিঃ নদী পথ ঘুরে রাতে একের পর এক প্রতিমা বির্সজন সম্পন্ন করেন পুজারীর এর মধ্য দিয়ে ভেঙ্গেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের মিলন মেলা।