নোয়াখালীতে শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার,২ কিশোর আটক।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে ৮ বছর বয়সী এক নূরানী শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে একই মাদ্রাসার দুই কিশোর শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাফেজ মহিউদ্দিন (রহ.) তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিশুটি বলৎকারের শিকার হয়।সে ওই মাদ্রাসার মাজ্রা প্রথম জামাতের ছাত্র ছিল।রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাজী কলোনী থেকে ধর্ষক সিফাত (১২) কে আটক করে।সে কাজী কলোনীর সফি মিয়ার ছেলে এবং হাফেজ মহিউদ্দিন (রহ.) তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
অপরদিকে, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের একলাশপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি থেকে ধর্ষক হাসান (১১) কে আটক করে পুলিশ। সে একই গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত অলি উল্লার ছেলে।
শিশুটির বাবা জানান, কোরআনের হাফেজ করার উদ্দেশ্যে তার ছেলেকে ১ বছর আগে ওই মাদরাসায় ভর্তি করান।সে আবাসিক ছাত্র হিসেবে সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো।গত শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মাদ্রাসায় যায় তার বাবা।
এ সময় শিশুটি তার বাবাকে গোপনে জানায় আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও,কথা আছে। বাড়িতে এসে শিশুটি জানায়, হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও হাসান দীর্ঘদিন থেকে বেশ কয়েকবার তাকে বলৎকার করে আসছে।মাদ্রাসার বড় হুজুরকে এ বিষয়ে শিশুটি জানালে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এমনকি ওই ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে কোন ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।পরে রোববার সন্ধ্যার দিকে এ বিষয়ে পুলিশকে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারে রোববার সন্ধ্যার দিকে অভিযোগ পেলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে।এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ওই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।