ধামরাইয়ে কুমারী পূজার মধ্যদিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মহাঅষ্টমী উদযাপিত।
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ
ধামরাইয়ে কুমারী পূজার মধ্যদিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মহাঅষ্টমী উদযাপিত।
করোনার প্রাদুর্ভাব ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যদিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার ধামরাই পৌরসভার ৩৪টি সহ সমগ্র ধামরাই উপজেলায় ১৬৩টি মন্দির-মন্ডপে উদযাপন হচ্ছে দুর্গাৎসব। করোনা বিধি নিষেধ মেনেই পূজা ও উৎসব পালন করছে পূজারী এবং ভক্তরা।
পূজার প্রথম দিন ষষ্টী ও দ্বিতীয় দিন সপ্তমীতে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হওয়ায় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে সপ্তমীর বিকেল থেকে পূজা ও মন্দিরস্থলে ভিড় বাড়তে থাকে। ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান ও উৎসবের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ বড় উৎসব।
মহাঅষ্ঠমি পূজায় ব্যাপক আয়োজন ও ভীড় কুমারী পূজা অনূষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার ধামরাই বকুল-তলা মন্দিরে ধামরাই পৌরসভার বকুলতলা বাসুদেব মন্দির কমিটির আয়োজনে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় টায় কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয়েছে শারদীয়া উৎসবের প্রধান আয়োজন মহা অষ্ঠমী পূজা।
দেবী রূপে সাজিয়েছে রাখিকে।দেবী দূর্গার পদতলে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিত অর্ঘ দিয়ে পুজা করছেন।বাজছে কাসর ঘন্টা ও শঙ্খ সাথে ভক্ত নারীদের উলু-ধ্বনি।করোনার কারনে এবার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিও কম,মন্দির এলাকায় অনেকটাই নিরবতা ভাব বিরাজ করছে।
পুরোহিত উজ্জ্বল গাঙ্গুলী পুজা সম্পন্ন করেন।
মন্দিরের সভাপতি সুমন বনিক বলেন সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাক্স পরে সবাই পুজায় অংশ নেন।
কুমারী রাখি ভক্তদের আর্শিবাদ করে সবার মঙ্গল ও করোনা মুক্তির আর্শিবাদ করেন।
করোনার জন্য পুজারীদের আয়োজনেও ঘাটতি। উৎসব মুখরতা নেই। আগত ভক্তরা মুখে মাক্স পরে মায়ের পুজায় অংশ নিয়েছে। ধামরাই পৌর সভা এলাকায় ৩৪ টি ও ধামরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১২৯ টি নিয়ে মোট ১৬৩ টি মন্দিরে এবার দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধামরাইয়ে।এবার প্রতিটি মন্দিরে করোনা ও সকল অশুভ শক্তি নাশের প্রর্থনা করেছে পুজারীরা।
চোখে কাজল রূপ সজ্জায় পরিপাটি করে সাজানো চন্দন ফুলের মালা আর পায়ে আলতা দিয়ে যেন দূর্গা মায়েরই আদলে সাজিয়েছে ধামরাইয়ের ৯ বছরের রাখি গাঙ্গলীকে। ঢাক-ঢোল কাসর ঘন্টা আর বাদ্যের সাথে শংখ ধ্বনি ও আগত ভক্ত নারীদের উলু ধ্বনিতে মূখরিত পূজা মন্ডপ। সামাজিক দুরত্ব মেনেন চলার খেয়াল নেই কারো। প্রতিটি মন্দিরেই করোনা মুক্তির প্রাথনা হয়েছে।পুজা শেষে কুমারী দেবী দূর্গা ভক্তদের আর্শিবাদ করেন ও দেশ ও বিশ্ব থেকে করোনা মুক্তির আর্শিব্্াদ করেছে।
দূর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া ও কারোনার কারনে ৩৩ টি দুর্গা পুজার আয়োজিন হয়নি ধামরাইয়ে। পুজায় আইনর্শংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে। এছাড়াও র্যাব সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা নজরদারী করছে।সরকারী নির্দেশ মোতাবেক আরতি শেষে রাত ৯ টার মধ্যে প্রতিটি মন্দির বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে প্রশাসন থেকে।
আর প্রবাহমান কালের গতিতে ও ঋতুচক্রের আর্বতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো শরৎ পেরিয়ে মল মাসের কারনে হেমন্তে মা এসেছেন ভক্তদের মাঝে।এসেছে আগমনী বার্তা নিয়ে । মা এবার দোলায় আগমন ও গজে গমন করবেন।
আসুরিক শক্তি যখন মানবিক শক্তিকে পদদলিত করে.তখনই সর্ব শক্তিমান বিশ্ব স্রষ্টা আর্বিভূত হন ঈশ্বর রূপিণী মা দূর্গা রূপে। সেই ধরা ধামে সন্তানেরা কাছে পেয়ে হয়ে যায় আত্মহারা।সবার কন্ঠে ধ্বনিত হয়“যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা,নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমোঃ নমোঃ”।
মাতৃ পূজার এই আযোজনকে ঘীরে ধামরাইয়ের সকল পূজারী ভক্তরা করোনা থেকে মক্তি পেতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবার পূজায় ব্রতি হয়েছেন
কুমারী পূজা শেষে দেবী দূর্গা সাজে কুমারী পূজায় অংশ নেওয়া রাখিকে আরতি শেষে ভক্তদের শুভাশিষ প্রদান করে। ভক্ত দর্শনার্থীদের ঢল মহা আনন্দ উৎসব এখন ধামরাইয়ের প্রতিটি পূজা মন্ডপে।
ঢাকা রামকৃঞ্চমিশনের পর ব্যাপক আয়োজনে ধামরাইয়ের বকুল তলায় বাসুদেব মন্দির কমিটি আয়োজিত শারদীয় উৎসবের মহা অষ্ঠমি পূজায় আয়োজন করে“কুমারীপূজার”।এছাড়া প্রতিটি মন্ডপে পূজারীদের ভীড় একটু বেশী।আজ প্রতিটি মন্দিরে আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হচ্ছে।
চোখের পড়ার মত আকর্ষণীয় প্রতিমা ও সাজ এবং আলোকসজ্জা সকলের নজর কাড়ছে। তাই সবচেয়ে ভিড়ও এ পূজাস্থল জুড়ে। করোনা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানে সামিল হতে দেখা গেছে সকল বয়সের মানুষকেই।