জেলার খবর

যশোরের ঝিকরগাছায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে মারপিট ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ।

যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোরের ঝিকরগাছায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে মারপিট ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ।

যশোরের ঝিকরগাছায় পল্লীতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে গভীর রাতে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রবিবার গভীর রাতে উপজেলার ডহরমাগুরা গ্রামের পশ্চিমপাড়া শিমুলতলা নামক স্থানে ঘটেছে। স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারী তখন পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোসলেম আলীর বাড়িতে ছিল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সোমবার ঝিকরগাছা থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন জানান, ২০১৯ সালের ১৩ জুন মনোহরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন ও হালিমা খাতুনের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের মাত্র ৪/৫ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলে হালিমাকে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয় মিলন।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৫ জানুয়ারী মিলনগংদের নামে বিজ্ঞ আদালতে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করে হালিমা খাতুন। জানতে পেরে হালিমার সাবেক স্বামী মিলন হোসেনও বিজ্ঞ আদালতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে মর্মে হালিমাগংদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা করে। সবকয়টি মামলায় বর্তমানে চলমান রয়েছে।

ঘটনার রাতে তার সাবেক স্বামী মনোহরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন, তার ফুফাতো ভাই একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মফিজুর রহমানসহ ৩ জন তাদের বাড়ির সিঁড়ি ঘরের (উপরের) দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে।

রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে সে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় বের হলে মুখে কাপড় চেপে ধরে সিঁড়ি দিয়ে ছাদের উপরে নিয়ে যায়। এরপর হালিমাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে ও রেজার দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়।

ধস্তাধস্তির কারনে বাড়ির লোকজন জেগে যায় এবং প্রতিবেশি মুছা উদ্দিনের স্ত্রী শহরবানু (৫৫) টচলাইট জালানোর কারনে মুখবাধা অবস্থায় হালিমা খাতুনকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। এসময় তাদের কান্নাকাটির শব্দ শুনে প্রতিবেশি সেলিম হোসেন ও তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার এগিয়ে আসেন বলে তারা জানান। হালিমা তার সাবেক স্বামী ও ফুফাতো ভাইকে চিনতে পারলেও অপর ব্যক্তিকে চিনতে পারেননি বলে জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক স্বামী মিলন হোসেন ও তার মা মাহাফুজা বেগম বলেন, ষড়যন্ত্র করে নিজেই মাথার চুল কেটে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মিলন দীর্ঘদিন যশোরে থাকে এবং দুপক্ষের ৩ তিনটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুপক্ষের কেউই কিছুই জানায়নি।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে দু’পক্ষের বাড়ি অনেক দূরে হওয়ায় প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button